![সাকিব-মাহমুদউল্লাহর অফফর্ম দলে প্রভাব ফেলেছে, বলছেন তাসকিন](https://cricfrenzy.com/imagestorages/2024-06/cricfrenzy1719672505cricfrenzy17195568501.jpg)
|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে হতাশাজনক পারফরম্যান্স করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যাটে-বলে একের পর এক খারাপ ম্যাচ খেলেছেন সাকিব আল হাসানও। বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে উঠতে না পারায় এই দুজনের পারফরম্যান্সও দায়ী বলে মনে করছেন তাসকিন আহমেদ।
![](https://cricfrenzy.com/public/in_between.jpeg)
এবার বাংলাদেশের হয়ে সাতটি ম্যাচেই খেলেন মাহমুদউল্লাহ। সাত ইনিংসে ১৫.৮৩ গড়ে এবং ৯৪.০৫ স্ট্রাইক রেটে মোটে ৯৫ রান করেন এই ফিনিশার। তার এমন ফিনিশিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে কিছুই করতে পারেনি বাংলাদেশ।
ব্যর্থ ছিলেন সাকিবও। সাত ইনিংসে ১০৬.৭৩ স্ট্রাইক রেট এবং ১৮.৫০ গড়ে তার ব্যাটে আসে ১১১ রান। কেবল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ব্যাট হাতে তার অপরাজিত ৬৪ রানের ইনিংসে জিতেছে দল। বল হাতে মাত্র তিনটি উইকেট নেন তিনি।
![](https://cricfrenzy.com/public/walton-fg16.jpeg)
![](https://cricfrenzy.com/public/banner_size_687x165_gif.gif)
দেশে ফিরে তাসকিন বলেন, 'দুইজন সিনিয়র ক্রিকেটারের অফফর্ম আমাদের দলে প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু মাঠের বাইরে প্রভাব ফেলেনি, কেননা মাঠের বাইরে তারা ভালো টিম ম্যান। আল্লাহর রহমতে এই যে ৪৭ দিন সবাই একসাথে ছিলাম।'
'সবার ব্যবহার খুব ভালো ছিল। মাঠের বাইরে তো সব ঠিকই ছিল। আসলে দলের কী প্লেয়াররা অফ-ফর্মে থাকলে সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। আশা করছি দ্রুতই সব কাটিয়ে উঠে সামনে ভালো কিছু করব আমরা।'
পুরো আসরেই ব্যাট হাতে ভুগেছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। কেবল তাওহীদ হৃদয় ছাড়া নিজেদের আর মেলে ধরতে পারেননি কেউই। অপরদিকে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তানজিম হাসান সাকিব, রিশাদ হোসেনরা।
তাসকিন আরও বলেন, ‘ব্যাটিং বিপর্যয় যেটা, আসলে সত্যি বলতে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে যুক্তরাষ্ট্রে যখন খেলা হয়েছে, তখন কিন্তু ব্যাটারদের ফেভার খুব কম ছিল। আপনারা যদি স্ট্যাট চেক করেন, অন্যান্য দেশের ব্যাটার, বড় বড় দলগুলোও স্ট্রাগল করেছে। ওখানে বোলারদের একটু অ্যাডভান্টেজ ছিল।’
‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাওয়ার পর একটু ভালো উইকেটে খেলছি আমরা। কিন্তু তাও আসলে, এত লম্বা...কখনোই আমি ক্রিকেট খেলার পর, বাংলাদেশ দলের হয়ে শেষ ১০ বছর ধরে খেলছি, কখনো এরকম লম্বা ব্যাটিংয়ে খারাপ সময় দেখি নাই। আশা করি এটা দ্রুতই কাটিয়ে উঠবে।’