টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

'বড়' উইকেট ভেবে উদযাপন করেছিলেন কামিন্স, জানতেন না হ্যাটট্রিক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 13:00 শুক্রবার, 21 জুন, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

প্যাট কামিন্সের অফ স্টাম্পের বাইরের স্লোয়ার ডেলিভারিতে স্কুপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে কুয়াচ দেন তাওহিদ হৃদয়। সেই ক্যাচ খুব সহজেই নেন জশ হ্যাজেলউড। এরপর সহজাতভাবেই নিজের উদযাপন সারতে দেখা যায় প্যাট কামিন্সকে।

যদিও হৃদয়ের উইকেট নিয়ে যে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেয়েছেন সেটাই বুঝতেই পারেননি অস্ট্রেলিয়ার এই পেসার। হ্যাটট্রিকের কথা তার মাথায়ও ছিল না। ১৮তম ওভারে নিজের শেষ দুই বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও শেখ মেহেদীর উইকেট নিয়েছিলেন কামিন্স।

ফলে ১৯তম ওভারে বল করতে এসে হ্যাটট্রিকের সামনে ছিলেন তিনি। হ্যাটট্রিকের পর জায়ান্ট স্ক্রিনে চোখ যায় কামিন্সের সেখানে দেখেই বুঝেছেন হ্যাটট্রিক হয়েছে। এরপর সতীর্থ মার্কাস স্টইনিসও এসে তাকে জানান হ্যাটট্রিকের ব্যাপারে। হৃদয় বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা ব্যাটার। এই উইকেটটিকে বড় উইকেটের আখ্যা দিয়েছেন কামিন্স।

তিনি বলেছেন, 'আমার কোনো ধারণাই ছিল না। জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখলাম। (মার্কাস) স্টয়নিসও এসে বলল। সেট ব্যাটসম্যান (হৃদয়) ছিল স্ট্রাইকে, তাদের ইনিংস এগিয়ে নিচ্ছিল। আপনি কখনও বলতে পারবেন না, (সেখান থেকে) কী হতে পারে। তো সেটি বড় উইকেট ছিল। তাদের আটকে রাখতে পারায় খুশি।'

এর মধ্যে দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ পেসার হিসেবে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেয়েছেন কামিন্স। তার আগে ব্রেট লি, অ্যাস্টন অ্যাগার ও ন্যাথান এলিস হ্যাটট্রিক করেছেন। ব্রেট লি ও এলিস বাংলাদেশের বিপক্ষেই হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেয়েছিলেন। এবার টাইগারদের দিয়েই নিজের ক্যারিয়ারে হ্যাটট্রিক পূ্রণ করলেন কামিন্স। 

বয়সভিত্তিক দলে খেলার সময় কয়েকবার হ্যাটট্রিকের কৃতিত্ব আছে কামিন্সের। তবে জাতীয় দল বা সিনিয়র দলের হয়ে খেলার সময় এর আগে তিন বলে তিন উইকেট নিতে পারেননি তিনি। কামিন্স এদিন অভিনন্দন পেয়েছেন অ্যাগার ও এলিসেরও।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে কয়েকটি হ্যাটট্রিক করেছি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আগে কখনও হয়নি। বেঞ্চে থাকা অ্যাগার ও এলিসের হ্যাটট্রিক আছে। তাদের ক্লাবে যোগ দিলাম। এটি করতে পারা দারুণ ব্যাপার। চমৎকার একটি ক্লাবের অংশ হলাম। তারা আমাকে স্বাগত জানাচ্ছে।'