টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

অস্ট্রেলিয়ার জয়ে সুপার এইটে ইংল্যান্ড

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 09:53 রবিবার, 16 জুন, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সুপার এইটে যেতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার জয় চাওয়া ছাড়া কিছুই করার ছিল না ইংল্যান্ডের। যার ফলে নিজেদের প্রয়োজনেই অস্ট্রেলিয়া ও স্কটল্যান্ড ম্যাচে নজর ছিল জস বাটলারদের। ইংল্যান্ডের পাশাপাশি এই ম্যাচে চোখে রেখেছিল পুরো বিশ্বই। তার একটা বড় কারণ জশ হেজেলউডের করা মন্তব্য। অস্ট্রেলিয়ার এই পেসার জানিয়েছিলেন, ইংলিশদের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় করতে স্কটল্যান্ড ম্যাচে ফলের ব্যবধানে প্রভাব রাখতে পারেন তারা।

টিম পেইন তো রীতিমতো অস্ট্রেলিয়ার সেরা একাদশের ক্রিকেটারদের ছুটি কাটাতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। স্কটল্যান্ডের কাছে অস্ট্রেলিয়া হারলেই বাড়ির পথ ধরতে হতো ইংল্যান্ডকে। দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হওয়ার শঙ্কা ছিল অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মিচেল মার্শকে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য এমন কিছুই হয়নি। সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে স্কটল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সাবেক বিশ্বজয়ীদের জয়ে সুপার এইটে জায়গা করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। তাতে ৪ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট পাওয়া স্কটল্যান্ড বিদায় নিয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকে।

জয়ের জন্য ১৮১ রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন ডেভিড ওয়ার্নার। ব্রাড হোয়াইলের অফ স্টাম্পে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে আড়াআড়াভাবে খেলার চেষ্টা করেছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। যার ফলে টপ এজ হয়ে রিচি বেরিংটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ১ রান করা ওয়ার্নার। পাওয়ার-প্লে শেষ হওয়ার আগে ফিরতে পারেন ট্রাভিস হেডও।

ক্রিস সোলের স্লোয়ার ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে হাওয়ায় ভাসিয়েছিলেন তিনি। মিড অনে ক্যাচ উঠলেও সেটা লুফে নিতে পারেননি মাইকেল জোনস। পরের ওভারে অবশ্য ফিরেছেন মার্শ। সাফওয়ান শরিফের বলে পুল করতে গিয়ে ডিপ মিড ‍উইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। বড় লক্ষ্য তাড়ায় করতে গেলেও প্রথম ৬ ওভারে প্রত্যাশিত রান তুলতে পারেনি অজিরা।

দুই উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়া পাওয়ার-প্লেতে তুলেছে মাত্র ৩৬ রান। স্কটল্যান্ডের বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে দ্রুত রান তুলতে পারেননি অজিরা। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। মার্ক ওয়াটের বলে বোল্ড হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এই অলরাউন্ডার। ১০ ওভারে শেষে ৩ উইকেটে ৭৪ রান তুললে ৬০ বলে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন হয় ১০৭ রান। এমন সময় ব্যাটিংয়ে এসে রান তোলার গতি বাড়াতে থাকেন স্টইনিস।

মাইকেল লিস্কের ওভারে টানা দুই ছক্কা মারার পর মেরেছেন একটি চারও। এদিকে সাবধানী ব্যাটিং করতে থাকা হেড ৪৫ বলে পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। পরের ওভারে সাফওয়ানকে চার বলের ব্যবধানে তিন ছক্কা মেরেছেন তিনি। যদিও একই ওভারেই ফিরে যেতে হয়েছে হেডকে। ডানহাতি এই পেসারের ফুলার লেংথের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ৬৮ রানের ইনিংস খেলা অজি ওপেনার।

একই ওভারে চার মেরে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন স্টইনিসও। পঞ্চাশ ছুঁতে মাত্র ২৫ বল খেলেছেন তিনি। হেডের পর হাফ সেঞ্চুরির পর ফিরেছেন ২৯ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলা স্টইনিস। এরপর অস্ট্রেলিয়ার জয়ের বাকি কাজটা সেরেছেন ম্যাথু ওয়েড ও টিম ডেভিড। ২ বল বাকি থাকতে জয় পাওয়া ম্যাচে ডেভিড ২৪ এবং ওয়েড অপরাজিত ছিলেন ৪ রানে। স্কটল্যান্ডের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ওয়াট ও সাফওয়ান।

এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রানের পুঁজি পায় স্কটল্যান্ড। ৩৪ বলে সর্বোচ্চ ৬০ রানের ইনিংস খেলেছেন ব্রেন্ডন ম্যাকমালেন। এ ছাড়া স্কটিশদের হয়ে বেরিংটন অপরাজিত ৪২, জর্জ মানজি ৩৫ এবং ম্যাথু ক্রস ১৮ রান করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ম্যাক্সওয়েল নিয়েছেন দুটি উইকেট। এ ছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন অ্যাস্টন অ্যাগার, নাথান এলিস ও অ্যাডাম জাম্পা।