আইপিএল

‘অপ্রতিরোধ্য’ স্টইনিসের সামনে অসহায় মুস্তাফিজ-পাথিরানা, হারল চেন্নাই

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 19:34 মঙ্গলবার, 23 এপ্রিল, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের অসাধারণ সেঞ্চুরিতে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসকে ২১১ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস। যদিও মার্কাস স্টইনিসের ৬৩ বলে ১৩টি চার ও ছয়টি ছক্কায় সাজানো ১২৪ রানের ইনিংসে ছয় উইকেট এবং তিন বল হাতে রেখেই জিতে যায় লক্ষ্ণৌ। এ দিন বল হাতে একেবারেই বিবর্ণ ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান এবং মাথিশা পাথিরানা।

ইনিংসের পঞ্চম ওভারে নিজের প্রথম ওভার করেন মুস্তাফিজ। ওভারের চতুর্থ বলে লোকেশ রাহুলকে ফেরান তিনি। তার অফ স্টাম্প তাক করা লেংথ ডেলিভারিটি এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে খেলার চেষ্টা করতে গিয়ে রাহুল ক্যাচ তুলে দিলে তা লুফে নেন রুতুরাজ।

ফলে ১৪ বলে ১৬ রান করে ফিরে যান লক্ষ্ণৌর অধিনায়ক। সেই ওভারে মুস্তাফিজ দেন মাত্র ৪ রান। প্রথম বলে চার খাওয়ার পর আর রানই দেননি তিনি। এর আগে প্রথম ওভারে কুইন্টন ডি কক ফিরে যান রানের খাতা খোলার আগেই। দারন এক ডেলিভারিতে তাকে বোল্ড করেন দীপক চাহার।

মুস্তাফিজ নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট নেয়ার কারণে দলীয় ৩৩ রানের মধ্যেই লক্ষ্ণৌর দুই ওপেনারকে ফেরায় চেন্নাই। এরপর দেবদূত পাড়িকালকে নিয়ে ৫৫ রানের জুটি গড়েন মার্কাস স্টইনিস। এই জুটি ভাঙেন মাথিশা পাথিরানা। নিজের প্রথম ওভারে ১৯ বলে ১৩ রান করা পাড়িকালকে বোল্ড করেন তিনি।

একপাশ দিয়ে ম্যাচটি টেনে নিয়ে যেতে থাকেন স্টইনিস। প্রতি ওভারের অন্তত একটি বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকেন তিনি। ১৫তম ওভারে নিজের দ্বিতীয় ওভার করেন মুস্তাফিজ। সেই ওভারে স্টইনিস এবং নিকোলাস পুরান মিলে তার ওভারে তোলেন ১৩ রান।

পরের ওভারটি করেন চেন্নাইয়ের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার শার্দুল ঠাকুর। তার সেই ওভারে এই দুজন নেন ২০ রান। সবমিলিয়ে তিন ওভারে ৪২ রান দেন শার্দুল। যদিও ১৭তম ওভারে পুরানের দারুণ একটি ক্যাচ লুফে নেন শার্দুল। পাথিরানার বলে ডাউন দ্যা গ্রাউন্ডে খেলতে গিয়ে বল উপরে তুলে দেন ১৫ বলে ৩৪ রান করা পুরান। লং অফ থেকে দৌড়ে এসে চাপের মধ্যে দারুণ একটি ক্যাচ নেন শার্দুল।

ফলে স্টইনিসের সঙ্গে তার ৭০ রানের জুটি ভাঙে। ১৫৮ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় লক্ষ্ণৌ। ১৮তম ওভারে নিজের তৃতীয় ওভার করেন মুস্তাফিজ। সেই ওভারে সেঞ্চুরি তুলে নেন স্টইনিস। ৫৫ বলে সেঞ্চুরির দেখা পান এই অস্ট্রেলিয়ান। সেই ওভারে মুস্তাফিজ দেন ১৫ রান। ম্যাচ জিততে শেষ দুই ওভারে লক্ষ্ণৌয়ের প্রয়োজন ছিল ৩২ রানের।

১৯তম ওভারে পাথিরানা দেন ১৫ রান। ফলে মুস্তাফিজের শেষ ওভারে লক্ষ্ণৌর প্রয়োজন হয় ১৭ রানের। শেষ ওভারে তার প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান স্টইনিস। পরের দুই বলে আরও দুটি চার হাঁকান তিনি। এরমধ্যে তৃতীয় বলটি নো বল করেন মুস্তাফিজ। বলটি আবার করতে গেলে স্টইনিস তাকে আবারও চার মারেন।

ফলে সেই ওভারে জয়ের জন্য ১৭ রান লাগলেও মুস্তাফিজ দেন ১৯ রান। ৩.৩ ওভারে ৫১ রান দেন এই পেসার। দলকে জেতাতে দীপক হুডা অপরাজিত থাকেন ৬ বলে ১৭ রান করে। চিপকে এর আগে রুতুরাজ এবং শিভম দুবের ৪৯ বলে ১০৪ রানের চতুর্থ উইকেট জুটিতে দুই শতাধিক রান তোলে চেন্নাই। অন্যান্য ব্যাটাররা ব্যর্থ হলেও এই দুজন ছিলেন অনন্য। ৬০ বলে ১২টি চার ও তিনটি ছক্কায় অপরাজিত ১০৮ রান করেন রুতুরাজ।

দুবে খেলেন তিনটি চার ও সাতটি ছক্কায় ৬৬ রানের অনবদ্য এক ইনিংস। লক্ষ্ণৌর হয়ে একটি করে উইকেট নেন ম্যাট হেনরি, মহসিন খান এবং যশ ঠাকুর।