আইপিএল

শেষ ওভারে স্টার্ককে ৩ ছক্কা মেরেও বেঙ্গালুরু হার

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 20:22 রবিবার, 21 এপ্রিল, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

এক ওভার ২১ রান! বোলিংয়ে মিচেল স্টার্ক আর ব্যাটিংয়ে কার্ন শর্মা। বিশেষজ্ঞ কোন ব্যাটার না থাকায় এমন সমীকরণ মেলানোটা অসম্ভবই বটে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর জয়ের স্বপ্ন তখন নেই বললেই চলে। তবে স্টার্কের বিপক্ষে কার্ন যেভাবে শুরুটা করলেন সেটা অবিশ্বাস্যই বলতে হয়। স্টার্কের অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে ছক্কা মারলেন কার্ন। বাঁহাতি এই ব্যাটার পরের বলে ডট দিলেও তৃতীয় বলে ছক্কা মেরেছেন এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে।

স্টার্কের পরের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে ছক্কা মেরেছেন ব্যাকওয়ার্ডে পয়েন্ট দিয়ে। স্টার্ককে তিন ছক্কা মারার পর শেষ দুই বলে বেঙ্গালুরুর চাই মাত্র ৩ রান। এমন সময়ে এসে স্টার্কের দারুণ ক্যাচে ফিরতে হয় অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে জয়ের আশা দেখানো কার্নকে। শেষ ২ রান নিতে পারলে খেলা গড়াতো সুপার ওভারে, ৩ রান করতে পারলেই জয়। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে স্টার্কের লো ফুলটসে দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়েছেন লকি ফার্গুসন। কলকাতা জয়ের দেখা পায় ১ রানে। ৮ ম্যাচের সাতটিতে হেরে পয়েন্ট টেবিলের দশেই পড়ে থাকতে হচ্ছে বেঙ্গালুরুকে।

কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে হার্শিত রানার ফুল লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করে চার মেরে রানের খাতা খোলেন বিরাট কোহলি। প্রথম ওভারের শেষ বলে ডানহাতি এই ওপেনার মেরেছেন ছক্কাও। তাতে প্রথম ওভার থেকে এসেছে ১২ রান। পরের ওভারে মিচেল স্টার্কের বিপক্ষে কোহলি ও ডু প্লেসি তুলেছেন ১৫ রান। কলকাতার বিপক্ষে ২২৩ রান তাড়ায় দুই ওভার শেষে বেঙ্গালুরুর সংগ্রহ বিনা উইকেটে ২৭ রান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে এসে প্রথম উইকেট হারায় সফরকারীরা।

হার্শিতের স্লোয়ার হাই ফুলটসে ভড়কে গিয়েছিলেন কোহলি। ঝড়ো শুরুর পরও লিডিং এজ হয়ে বোলারের হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফিরতে ৭ বলে ১৮ রান করা এই ব্যাটারকে। যদিও আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি কোহলি। যার ফলে আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কেও জড়িয়েছিলেন। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে আরও এক উইকেট হারায় বেঙ্গালুরু। অধিনায়ক ডু প্লেসি সাজঘরে ফিরেছেন ৭ বলে ৭ রান করে।

দ্রুত ২ উইকেট হারালেও রানের চাকা সচল রেখেছিলেন উইল জ্যাকস এবং রজত পাতিদার। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তারা দুজনই হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। ৩২ বলে ৫৫ রান করা জ্যাকস ফেরার পর পাতিদার আউট হয়েছেন ২৩ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলে। ইমপ্যাক্ট সাব হিসেবে নামা সুহাস প্রভুদেশাই ২৪, দীনেশ কার্তিক ২৫ এবং কার্ন ২০ রান করলেও জয় পাওয়া হয়নি বেঙ্গালুরুর। কলকাতার হয়ে আন্দ্রে রাসেল তিনটি, সুনীল নারিন ও হার্শিত নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম ওভার থেকেই মোহাম্মদ সিরাজের ওপর চড়াও হন ফিল সল্ট। অন্যপাশে থাকা নারিন ব্যাট হাতে ভুগলেও প্রথম ৩ ওভারে ২৭ রান তোলে স্বাগতিকরা। পরের ওভারে ফার্গুসনের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালান সল্ট। দুই ছক্কা ও চারটি চারে সেই ওভার থেকে এনেছেন ২৮ রান। যদিও পঞ্চাশ ছোঁয়ার আগেই সাজঘরে ফিরতে হয়েছে ইংলিশ ওপেনারকে।

সিরাজের গুড লেংথ ডেলিভারিতে পুল করে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দিলে ১৪ বলে ৪৮ করে থামতে হয় সল্টকে। এরপর ১৫ বলে ১০ করা নারিন ও ৩ রান করা রাঘুবংশীকে ফেরান ইয়াশ দয়াল। ফলে বড় সংগ্রহের শঙ্কা জাগে তাদের। তবে কলকাতার রানের চাকা সচল রাখেন অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার।

রিংকু সিংকে নিয়ে স্কোরবোর্ডে রান তুলতে থাকেন তিনি। ২৪ রানে রিংকু ফিরলেও ৩৫ বলে এবারের আসরে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন আইয়ার। কিন্তু দুই বল পরই ক্যামেরন গ্রিনের লেংথ ডিলিভারিতে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় তাকে। সবশেষ রাসেলের ২৭ ও রামানদিপ সিংয়ের ৯ বলে ২৪ রানের ক্যামিওতে ২২২ রানের সংগ্রহ পায় দলটি। বেঙ্গালুরুর হয়ে দুটি করে উইকেট পেয়েছেন গ্রিন ও দয়াল।