আইপিএল

আইপিএলে আরও বড় বাউন্ডারি চান গাভাস্কার

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 18:22 রবিবার, 21 এপ্রিল, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

বোলার বোলিং করবে আর ব্যাটাররা সেটাকে ছক্কা কিংবা চারে রূপান্তর করবে! এটা যেন এবারের আইপিএলের অলিখিত এক নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাপের মুখে বোলাররা কোথায় বল ফেলবেন সেটাই যেন খুঁজে পাচ্ছেন না। এমন চাপে অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছেন বোলাররা। তাদের এমন চাপ কিংবা কষ্ট কমাতে আইপিএলের ভেন্যুর বাউন্ডারি বড় করার পরামর্শ দিয়েছেন সুনীল গাভাস্কার।

মারকাটারি ব্যাটিংয়ে আইপিএলের এবারের আসরে চলছে ব্যাটারদের জয়গান। আইপিএলের রান ‍উৎসবকে সবচেয়ে বেশি রঙিন করেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রথম ৩৪ ম্যাচের ২৭০ এর বেশি রান হয়েছে তিনটি ম্যাচে। দলের রান ২৪০ ছাড়িয়েছে এমন ম্যাচের সংখ্যা ৫টি। আরও একটু কমিয়ে ২২০ এর বেশি রান হয়েছে এমন ম্যাচের হিসেবে করলে সংখ্যাটা ৮।

প্রতি ওভারে ২০ রান দিয়েছেন এমনটা ঘটেছে ৫৪ বার। অথচ প্রথম ৩৪ ম্যাচের হিসেবে ২০২২ মৌসুমে এমন ওভারের সংখ্যা ছিল ৩৯। এবারের মৌসুমে প্রতি ৪.৯৫ বলে একটি করে বাউন্ডারি মেরেছেন ব্যাটাররা। ছক্কা এসেছে প্রতি ১৩.৪৮ বলের ব্যবধান। পরিসংখ্যান দেখে এটা স্পষ্ট যে বোলারদের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালাচ্ছেন ব্যাটাররা। ব্যাটে-বলের লড়াইয়ের পার্থক্য কমিয়ে আনতেই বাউন্ডারি বড় করার পরামর্শ গাভাস্কারের।

আনজুম চোপড়ার সঙ্গে আলাপকালে ভারতের কিংবদন্তি সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ‘আমি ব্যাটের আকার বদলাতে বলব না। ওটা নিয়মের মধ্যেই আছে। আমি যেটা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি, প্রতিটি মাঠে বাউন্ডারির সীমানা বাড়ান। আজকের এই মাঠেই তাকান। এখানে বাউন্ডারি দড়ি আরও কয়েক মিটার পেছানো যায়। বাউন্ডারি একটু বাড়ালে ক্যাচ এবং ছক্কার পার্থক্য বোঝা যায়। এলইডি কিংবা বিজ্ঞাপন বোর্ড পিছিয়ে ২–৩ মিটার বাউন্ডারি বাড়ানো যেতেই পারে। যেটা পার্থক্য গড়ে দেবে। নয়তো বোলাররা ভোগান্তির মধ্যেই থাকবে।'

টি-টোয়েন্টিকে বলা হয়ে থাকে মারকাটারি ব্যাটিংয়ের সংস্করণ। ২০ ওভারের ক্রিকেটের খেলার ধরনই যেন বদলে দিচ্ছেন হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। তবে এভাবে চলতে থাকলে মানুষের কাছে খেলাটা পানসে হয়ে যাবে বলে ধারণা গাভাস্কারের। তাই তো ব্যাটার ও বোলারের মাঝে আরও বেশি প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট দেখতে চান তিনি।

গাভাস্কার বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে দেখছি, টি–টোয়েন্টি ব্যাটিংটা হয়ে নেট অনুশীলনে কোচের কথার মতো, ‘যাও শেষ রাউন্ড খেলে আসো’। এরপর সবাই সমানে ব্যাট ঘোরাতে শুরু করে। আউট হলো কি হলো না সেটা ব্যপার নয়। একটা পর্যায় পর্যন্ত এটা ভালোই লাগে। কিন্তু বেশি হয়ে গেলে তখন আর উত্তেজনা কাজ করে না।’