আইপিএল

লো-স্কোরিং ম্যাচে গুজরাটকে সহজেই হারাল দিল্লি

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 22:58 বুধবার, 17 এপ্রিল, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে বেশ কয়েকটি ম্যাচেই এবার দুই শতাধিক রান হয়েছে। গতকালের ম্যাচেও কলকাতা নাইট রাইডার্সের ছুঁড়ে দেয়া ২২৪ রানের লক্ষ্য অতিক্রম করেছে রাজস্থান রয়্যালস। কিন্তু পুরোপুরি ব্যতিক্রম ছিল দিল্লি ক্যাপিটালস এবং গুজরাট টাইটান্সের ম্যাচটি। এ দিন মাত্র ৮৯ রানে অলআউট হয়েছে গুজরাট। সেই লক্ষ্য ৮.৫ ওভারে অতিক্রম করেছে দিল্লি।

এ দিন টস জিতে গুজরাটকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান দিল্লির অধিনায়ক ঋষভ পান্ত। অধিনায়কের সেই সিদ্ধান্তকে শতভাগ সঠিক প্রমাণ করেন বোলাররা। দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলেই দিল্লিকে উইকেট এনে দেন ইশান্ত শর্মা।

তার অফসাইডের বাইরে করা বলে কাভারে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন ৬ বলে আট রান করে শুভমান গিল। চতুর্থ ওভারে ঋদ্ধিমান সাহাকে বোল্ড করে বিদায় করেন মুকেশ কুমার। এ দিন দশ বলে কেবল দুই রান করেন ঋদ্ধিমান।

পঞ্চাশ পূরণ হওয়ার আগে সাই সুদর্শন, ডেভিড মিলার, ভিনব মনহোর এবং শাহরুখ খানের উইকেট হারায় দলটি। ৯ বলে ১২ রান করা সুদর্শন ফেরেন রানআউট হয়ে। শর্মার বলে দুই রান করা মিলারের ক্যাচটি নেন পান্ত। ত্রিস্টান স্টাবসের বলে ৮ রান করা মনোহরকে স্টাম্পিংও করেন তিনি।

স্টাবসের পরের বলে ঠিক একইভাবে স্টাম্পিং হন শাহরুখ। শেষদিকে রশিদ খানের ২৪ বলে ৩১ রানের সৌজন্যে ৯০ রানের কাছাকাছি পৌঁছায় গুজরাট। দিল্লির হয়ে১৪ রান খরচায় তিন উইকেট নেন মুকেশ। দুটি করে উইকেট নেন ইশান্ত ও স্টাবস।

অল্প লক্ষ্যে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে উইকেট হারিয়েছে দিল্লিও। ১০ বলে ২০ রানের দারুণ এক শুরু এনে দিয়ে স্পেন্সার জনসনের বলে ফিরে যান জেক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক। জনসনের লেগসাইডের বাইরে করা বলে ফ্লিক করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দেন ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক।

পরের ওভারে আরেক ওপেনার পৃথ্বী শ'কেও হারায় দিল্লি। ৬ বলে ৭ রান করা পৃথ্বীকে ফেরান সন্দীপ ওয়ারিয়র। তার শর্ট বলে শর্ট থার্ডে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন পৃথ্বী। নিজের পরের ওভারে ৭ বলে ১৫ রান করা অভিষেক পোরেলকে বোল্ড করেন সন্দীপ।

পাওয়ার প্লে'র মধ্যে পঞ্চাশ ছুঁয়ে ফেলে দিল্লি। পাওয়ার প্লে'র শেষ ওভারে অবশ্য শাই হোপের উইকেট হারায় দলটি। রশিদ খানের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে শর্ট থার্ডে ক্যাচ দেন ১০ বলে ১৯ রান করা হোপ। চার উইকেট পড়ার পর দিল্লিকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান পান্ত ও সুমিত কুমার। পান্ত ১১ বলে ১৬ এবং সুমিত ৯ বলে ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।