বাংলাদেশ- শ্রীলঙ্কা সিরিজ

সিরিজ শুরুর আগে একই ভেন্যুতে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ম্যাচ চান শান্ত

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 15:17 বুধবার, 03 এপ্রিল, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে হারের পর আবারও দৃশ্যমান হয়েছে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের কঙ্কাল। বিশেষ করে দলের ব্যাটারদের দৃষ্টিকটুভাবে উইকেট ছুঁড়ে দেয়া নিয়ে সমালোচনা চলছেই। টেস্ট ক্রিকেটে উন্নতির উপায় বাতলে দিয়েছেন নয়া অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত নিজেই। ঘরে বা বাইরের মাটিতে টেস্ট খেলার আগে সেখানে 'এ' দল পাঠানোর তাগিদ দিচ্ছেন তিনি।

সদ্য সমাপ্ত চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা করে ৫৩১ রান। ব্যাটিং স্বর্গ পেয়েও সেই উইকেটে বাংলাদেশ তুলতে পেরেছে মাত্র ১৭৮ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে মেহেদী হাসান মিরাজের অপরাজিত ৮১ রানের সুবাদে বাংলাদেশ ৩১৮ রান করেছে ঠিকই, তবে তাতে বড় ব্যবধানে পরাজয় এড়ানো যায়নি।

সবচেয়ে বেশি দৃষ্টিকটু ছিল বাংলাদেশের ব্যাটারদের দায়িত্বহীন সব শট খেলতে যাওয়ার প্রবণতা। এ ছাড়া ফিল্ডিংও ছিল হতশ্রী। আগামী কয়েকমাসে এই ফরম্যাটে ম্যাচ খেলবে না বাংলাদেশ। তবুও অধিনায়কের চিন্তায় স্থান পাচ্ছে টেস্ট ম্যাচ। টেস্টে উন্নতির পথ বলে দিলেন শান্ত নিজেই।

বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, 'আমরা কোন সিরিজ খেলতে যাওয়ার আগে সেখানে যদি ‘এ’ দল পাঠাতে পারি তাহলে সবচেয়ে কার্যকরী হবে। যারা শুধু টেস্ট খেলছে বা যারা এক-দুটি সংস্করণ খেলে, ওরা যদি আগে গিয়ে এক-দুটি ম্যাচ খেলতে পারে, তাহলে কিন্তু প্রস্তুতিটা খুব ভালো হবে। ওই উইকেট ও কন্ডিশন সম্পর্কে ধারনা হবে।'

'যারা তিন সংস্করণে খেলে তাদের জন্য কঠিন। হ্যাঁ, তাদের ওই নেট অনুশীলনের মাধ্যমেই মানিয়ে নিতে হবে। এই সিরিজটা যেমন খেললাম দুই দিনের বিরতিতে। যারা সাদা বলের ক্রিকেট খেলছে, তাদের জন্য কঠিন। তাদের মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে। যারা শুধু টেস্ট খেলছে, তাঁরা যদি যাদের সঙ্গে খেলব সে দেশে আগে ‘এ’ দল পাঠাতে পারি, ঘরে খেলি বা ঘরের বাইরে, তাহলে প্রস্তুতি আরেকটু উন্নতি হবে।'

গতকাল ম্যাচের চতুর্থ দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে নিজেদের সাত উইকেট হারায় বাংলাদেশ। কার্যত সেদিনই ম্যাচটি হেরে যায় টাইগাররা। চতুর্থ দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলে মুমিনুল হক। শান্তও রাখছেন সেই প্রশ্ন।

তিনি আরও বলেন, 'প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট, হ্যাঁ, যদি উইকেটটা আরেকটু ভালো হয়, যে রকম কন্ডিশনে আমরা খেলব, যে চ্যালেঞ্জগুলো আমরা সামলাবো, তা হলে ভালো। কিন্তু আমরা যে চ্যালেঞ্জগুলো এখানে পাই, তা আমরা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পাই না।'

'আমরা খেলোয়াড়েরই হয়তো…আমরা আমাদের জায়গা থেকে যদি কিছু জিনিস যুক্ত করতে পারি, যে চ্যালেঞ্জটা আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সামলাচ্ছি, তাহলে অবশ্যই ভালো। হ্যাঁ, যত ম্যাচ খেলব ততো উন্নতির কিছু না কিছু জায়গা থাকেই।'