বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজ

লিটনকে ওর মতো থাকতে দিন: পোথাস

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 14:45 শুক্রবার, 29 মার্চ, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সিলেট টেস্টে ভরাডুবি হয়েছে বাংলাদেশের। লঙ্কানদের বিপক্ষে ৩২৮ রানের ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা। ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর দল এখন চট্টগ্রামে। তবে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যাটারদের ফর্ম।

সিলেটে মুমিনুল ইসলাম ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান এসেছিল স্পিনার তাইজুল ইসলামের ব্যাট থেকে। ওয়ানডের পর টেস্টেও ব্যর্থ হয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার লিটন দাস।

লঙ্কানদের বিপক্ষে দুই ওয়ানডেতে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর তৃতীয় ওয়ানডেতে দল থেকেই বাদ পড়েছিলেন তিনি। এরপর সিলেট টেস্টে প্রথম ইনিংসে ২৫ রান করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলেই ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে আউট হন লিটন।

এ কারণে তাকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। যদিও বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ নিক পোথাস আগলে রাখছেন লিটনকে। তিনি মনে করেন লিটন নিজের মতো খেলতে পারলেই এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসবেন। মানসিকভাবেও কোনো সমস্যা নেই তার।

দ্বিতীয় টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে পোথাস বলেছেন, ‘হ্যাঁ, আমাদের কথা হয়েছে। লিটন ভালো অবস্থায় আছে। ঝামেলাটা হচ্ছে লিটনের ওপর চাপটা বাইরে থেকে আসছে। আমার মনে হয় লিটনকে শুধু লিটনের মতো থাকতে দেয়া উচিত। এরপর সে তার সেরাটা দেখিয়ে দেবে।’

লিটনকে তার মতো খেলতে দেয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি আমরা মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওর পেছনে লেগে থাকি, তাহলে হবে না। আমরা ভুলে যাই এই ছেলেরা ক্রিকেট খেলে বা তাদের টিভিতে দেখায় বলে, যে ওরাও মানুষ। এজন্য যদি আমরা তাদের মানুষের মতোই দেখি, আর তাকে তার সেরাটা দেওয়ার সুযোগ দেই; আমি নিশ্চিত সে আপনাদের রেজাল্ট দেখিয়ে দেবে। ’

সিলেট টেস্টে দুই ইনিংসেই দুশো রানও করতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ১৮৮ রানে অল আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮২ রানে অল আউট হয় টাইগাররা। বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ মনে করেন দল হিসেবে বেশ অনভিন্ন বাংলাদেশ। এ কারণেই অভিজ্ঞ শ্রীলঙ্কার সামনে কঠিন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা আসল ব্যাপারটাই ভুলে যাচ্ছি যে আমাদের খুবই তরুণ ও অনভিজ্ঞ একটা দল। এর আগে অনেক এলিটদের একটা দল ছিল। এখন আমাদের আবার তৈরি করতে হচ্ছে। আমরা একটা ব্যাপারেই সবাইকে অনুরোধ করবো- ধৈর্য ধরুন।’

‘ওরা খুব খুব ভালো তরুণ, কিন্তু তারা তরুণ খেলছে এমন একটা দলের বিপক্ষে যারা অভিজ্ঞ। শেখার জন্য তাদের সময় লাগবে। আমরা আমাদের বাচ্চাদের কাছেও আলাদা কিছু প্রত্যাশা করি না। আমরা তাদের নতুন একটা পরিবেশে দিয়ে এটা আশা করি না তারা ওটার এক্সপার্ট হয়ে যাবে। এজন্যই ওরা স্কুলে যায়। এই দলটা অসাধারণ, এখন না করে দুই বছর তাদের বিচার করুন। ’