ডিপিএল

তাহজিবুলের হাফ সেঞ্চুরি ও আরিদুলের বোলিংয়ে গাজী টায়ার্সের জয়

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 21:37 বৃহস্পতিবার, 28 মার্চ, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ডিপিএলের দ্বিতীয় রাউন্ডে হাফ সেঞ্চুরি পেলেও পরের তিন ম্যাচে বড় ইনিংস খেলতে পারছিলেন না তাহজিবুল ইসলাম। অবশেষে বড় রানের দেখা পেয়েছেন গাজী টায়ার্সের অধিনায়ক। সিটি ক্লাবের বিপক্ষে দলকে প্রায় একাই টেনেছেন তরুণ এই ব্যাটার, খেলেছেন ৮৫ রানের ইনিংস। তাহজিবুলের হাফ সেঞ্চুরির পর আরিদুল ইসলাম আকাশের ৪ উইকেটে ৩৮ রানের জয় পেয়েছে গাজী টায়ার্স।

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ৪ নম্বর মাঠে টস জিতে আগে ব্যটিংয়ে নামে গাজী টায়ার্স। যদিও শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। দলীয় ২৩ রানে ওপেনার ইফতেখার রহমান ইফতির উইকেট হারায় তারা। আরেক ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি অবশ্য অন্য প্রান্তে আগলে রেখেছিলেন। যদিও বাকিরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে।

আগের ম্যাচের মতো এদিনও ব্যর্থ হয়েছেন হাফিজুর রহমান। রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন তিনি। আগের রাউন্ডে ৬৯ রান করা আশরাফুল আলম আসিফকে ১৩ রানের বেশি করতে দেননি মেহেদি হাসান। এই পেসারের বলে এক্সট্রা কাভারে সাদিকুর রহমানের তালুবন্দি হন আসিফ। এরপর জুবারুল ইসলাম রাতুল ২ রানে ফিরলে ৪৭ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি।

অধিনায়ককে নিয়ে এই ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন শিবলি। কিন্তু হাফ সেঞ্চুরির পথে থাকা এই ওপেনারকে ৪৫ রানে ফেরান নাইমুর রহমান নয়ন। এই স্পিনারের বল শিবলির ব্যাট ছুঁয়ে ধরা পড়ে উইকেটরক্ষক শাহরিয়ার কমলের হাতে। এরপর তাহজিবুলকে যোগ্য সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হয়েছে বাকিরা। তবে দলটির রানের চাকা সচল রাখেন অধিনায়ক।

বাকিদের যাওয়ার-আসার মাঝে একশ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তাহজিবুল। তার ইনিংসে করেই দুশ রান পার করে দলটি। ম্যাচের ৪৯ তম ওভারে মেহেদির লেংথ ডেলিভারি কাউকর্নার দিয়ে উড়িয়ে মারার চেষ্টা করলে থামতে হয় তাহজিবুলকে। ২ ছক্কা ও ৭ চারে সাজানো ইনিংস থামলে গুঁটিয়ে যায় দলটি। সিটি ক্লাবের হয়ে এদিন সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন মেহেদি ও মমিনুল ইসলাম।

জবাবে মৌসুমের প্রথম জয়ের খোঁজে শুরুটা বাজেভাবেই হয়েছে সিটি ক্লাবের। ৮ রান তুলতেই দুই ওপেনার সাদিকুর ও জয়রাজ শেখকে হারায় তারা। এরপর ৬৩ রনের জুটি গড়ে সেই ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন কমল ও রাফসান আল মাহমুদ। কিন্তু ৪০ রান করা কমল শিকার হন আরিদুলের। এরপর এই স্পিনারকে সামনে এসে খেলতে গেলে রাফসান ফেরেন ৬৩ বলে ২১ রানে।

সবশেষ দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন অধিনায়ক সাজ্জাদুল হক রিপন। দলটির মিডল অর্ডারের ব্যর্থতার মাঝে ৬৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। কিন্তু দুই বল পরই মারুফ মৃধার বলে থার্ডম্যান অঞ্চলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। গাজী টায়ার্সের হয়ে আরিদুলের চার উইকেট ছাড়াও মারুফ পেয়েছেন দুটি। একটি করে উইকেট পেয়েছেন লিয়ন ইসলাম, ইকবাল হাসান ও শামীম মিয়া।