ডিপিএল

শামীম-তুষারের ঝড়ে মাশরাফিদের বড় জয়

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 18:11 বৃহস্পতিবার, 28 মার্চ, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ জয় পেলেও ব্যাট হাতে রানের দেখা পাচ্ছিলেন না শামীম পাটোয়ারী। সবশেষ ম্যাচে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ৫৯ রানের ইনিংস খেলে খরা কাটিয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। রান তোলার ধারাবাহিকতা শামীম ধরে রাখলেন পরের ম্যাচেও। পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে এদিন রীতিমতো ঝড় তুললেন শামীম। ৮ ছক্কা ও ৬ চারে মাত্র ৪৩ বলে অপরাজিত ৮৬ রানের ইনিংস খেলেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। রূপগঞ্জকে জেতাতে শামীমের সঙ্গে ১১৬ রানের জুটি গড়েছেন তৌফিক খান তুষার। নিজেও খেলেছেন ৮ চার এবং ৪ ছক্কায় ৮৩ রানের ইনিংস। শামীম ও তুষারে ঝড়ে পারটেক্সকে ৭ উইকেটে হারিয়ে জয়ে ফিরেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার রূপগঞ্জ।

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে লক্ষ্য খুব বেশি বড় ছিল না রূপগঞ্জের জন্য। ১৯২ রান তাড়ায় ইমরানুজ্জামান এবং তুষারের ব্যাটে প্রত্যাশিত শুরুই পায় তারা। উদ্বোধনী জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৪৯ রান। ইনিংসের নবম ওভারে গিয়ে তাদের দুজনের জুটি ভাঙেন রাকিবুল আতিক। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে তারই হাতে ক্যাচ দিয়ে ১২ রানে ফিরেছেন ইমরানুজ্জামান।

তিনে নেমে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি চৌধুরি মোহাম্মদ রিজওয়ান। বাংলাদেশের হয়ে যুব এশিয়া কাপ জেতা এই অলরাউন্ডার সাজঘরে ফিরেছেন মাত্র ৫ রানে। রিজওয়ানকেও নিজের শিকার বানিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল আতিক। ৬৩ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে তোলেন তুষার ও শামীম। ওপেনিংয়ে নেমে শুরু থেকে দারুণ ব্যাটিং করা তৌফিক হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ৪২ বলে।

ব্যাটিংয়ে এসে শুরুতে তুষারকে সঙ্গ দিতে থাকেন শামীম। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজের সহজাত ব্যাটিং করতে থাকেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ইনিংসের ২১তম ওভারে তানবীর হায়দারের ওপর চড়াও হন তিনি। সেই ওভারে তিন ছক্কা ও ১ চারে ২২ রান নিয়েছেন শামীম। পরের ওভারে আজমির আহমেদকে ডিপ কভার দিয়ে চার মেরে মাত্র ৩১ বলেই নিজের হাফ সেঞ্চুরি করেছেন মারকুটে এই ব্যাটার।

তাদের দুজনের ১১৬ রানের জুটিতে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় রূপগঞ্জ। কিন্তু সেঞ্চুরির পথে থাকা তৌফিক ফেরেন ৮৩ রানে। তোফায়েল আহমেদের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে লং অফে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপর উইকেটে আসা আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজটা করেন শামীম। শেষ পর্যন্ত ৪৩ বলে ৮৬ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় পারটেক্স। দলটির দুই ওপেনার ব্যর্থ হলেও ম্যাচের হাল ধরেছিলেন মিজানুর রহমান। তানবীরকে নিয়ে ১০৩ রানের জুটি গড়েন। আগের রাউন্ডে হাফ সেঞ্চুরি করা মিজানুর এই ম্যাচেও ছিলেন ছন্দে। পেতে পারতেন সেঞ্চুরির দেখা। কিন্ত আব্দুল হালিমের বলে ডিপ মিড উইকেটে এক রান নেয়ার পর দ্বিতীয় রানের জন্য ছুটেন মিজান। সেখানেই রান আউটে কাটা পরতে হয় তাকে। তার দুই ছক্কা ও ১২ চারে সাজানো ৮৮ রানের ইনিংস থামলে, ধস নামে দলটির ব্যাটিং অর্ডারে।

সবশেষ তানবীর ৩৬ ও জিহাদুজ্জামান খান ২৩ করে ফিরলে ১৯১ রানের পুঁজি পায় পারটেক্স। রূপগঞ্জের হয়ে ৯ ওভার বোলিং করেও উইকেট শূন্য ছিলেন মাশরাফি। উইকেট না পেলেও মিতব্যয়ী বোলার ছিলেন তিনি। ৩.৩৩ ইকোনমিতে মাত্র ৩০ রান দিয়েছেনে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন শুভাগত হোম ও শহিদুল ইসলাম। হালিম ও আল আমিন নিয়েছেন একটি করে উইকেট।