আইপিএল

৫২৩ রানের ‘বিস্ফোরক’ ম্যাচে ৩১ রানে হারল মুম্বাই

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 23:57 বুধবার, 27 মার্চ, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ট্রাভিস হেড, অভিষেক শর্মা, এইডেন মার্করাম এবং হেনরিখ ক্লাসেনের ঝড়েআইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রানের সংগ্রহ গড়ে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে শুরুতেই চাপে ফেলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। জবাবে রোহিত শর্মা-ইশান কিশানের শুরুর ঝড়, তিলক ভার্মা ও টিম ডেভিডের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে স্বপ্ন দেখলেও সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারেনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ৫২৩ রানের বিস্ফোরক ম্যাচটি মুম্বাই হারে ৩১ রানে। এবারের আইপিএলে দুই ম্যাচ খেলে এখনও জিততে পারল না হার্দিক পান্ডিয়ার দল।

আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে তিন উইকেটে ২৭৭ রান করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। জবাবে পাঁচ উইকেটে ২৪৬ রান করে থেমেছে মুম্বাই। তিন ওভারে ৫০ রান করে ইনিংস শুরু করলেও বিশাল লক্ষ্য থেকে আস্তে আস্তে দূরে সরে যেতে থাকে মুম্বাই।

দলটির হয়ে ৩৪ বলে সর্বোচ্চ ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন তিলক ভার্মা। ২২ বলে অপরাজিত ৪২ রানের ইনিংস খেলেন টিম ডেভিড। এ ছাড়া রোহিত শর্মা ১২ বলে ২৬, ইশান কিশান ১৩ বলে ৩৪, নামান ধীর ১৪ বলে ৩০, হার্দিক পান্ডিয়া ২০ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলে কেবল পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছেন।

আইপিএলের এই ম্যাচটিতে হয়েছে বেশ কিছু বিশ্বরেকর্ড। এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রানের আগের রেকর্ডটি এর আগে ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর দখলে। ২০১৩ সালের আইপিএলে পুনে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়ার বিপক্ষে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু করেছিল ২৬৩ রান।

দুই দল মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি রানও হয়েছে এই ম্যাচে (৫২৩)। এর আগে ২০১০ সালের আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংস এবং রাজস্থান রয়্যালস একই ম্যাচে সম্মিলিতভাবে ৪৬৯ রান করে। শুধু আইপিএল নয়, যেকোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ মিলিয়ে এতো বেশি রান হয়েছে এবারই প্রথম। এ ছাড়া এই ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে ছক্কা হাঁকিয়েছে ৩৮টি। আইপিএলে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ছক্কার ঘটনা এটিই।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ঝড় তোলেন ট্রাভিস হেড। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৫ রান তোলে হায়দরাবাদ। অপরপ্রান্তের ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল ১৩ বলে ১১ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ফিরে গেলেও ঝড়ো ব্যাটিং অব্যাহত রাখেন হায়দরাবাদের হয়ে এই আসরে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা হেড।

তিনে নামা অভিষেক শর্মাও হাত খুলে খেলতে থাকেন। চার ছক্কায় দর্শকদের মাতিয়ে রেখে স্কোরবোর্ডে রান তুলে যাচ্ছিলেন তারা। ৭.৫ ওভারের মধ্যে স্কোরবোর্ডে ১১৩ রান তোলার পর জেরাল্ড কোয়েটজির বলে ফিরে যান হেড।

এই জুটিতে ৬৮ রান তোলে হায়দরাবাদ। ২৪ বলে ৯টি চার ও তিনটি ছক্কায় ৬২ রান করেন এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। হেড ফিরে গেলেও আক্রমণ চালাতে থাকেন অভিষেক। এইডেন মার্করামের সঙ্গে অল্প সময়ে ৪৮ রানের জুটি গড়েন তিনি।

হেডের চাইতেও আগ্রাসী ভঙ্গিমায় খেলতে থাকা অভিষেককে ফেরান পীযূষ চাওলা। ২৩ বলে তিনটি চার ও সাতটি ছক্কায় ৬৩ রান করা অভিষেকের ক্যাচটি ডিপ মিড উইকেট অঞ্চলে ধরেন নামান ধীর। তরুণ এই ভারতীয় ব্যাটার ফিরে যাওয়ার পর আর উইকেট হারায়নি হায়দরাবাদ।

১১ ওভার থেকে ইনিংসের শেষপর্যন্ত খেলে যান মার্করাম এবং হেনরিখ ক্লাসেন। চার-ছক্কায় রাজিব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামের দর্শকদের বুদ করে রেখে ৫৪ বলে ১১৬ রানের অবিচ্ছিন্ন এক জুটি গড়েন এই দুই সাউথ আফ্রিকান। ২৮ বলে ৪২ রন আসে মার্করামের ব্যাটে। ৩৪ বলে চারটি চার ও সাতটি ছক্কায় অপরাজিত ৮০ রান করেন ক্লাসেন।