ডিপিএল

সাকিবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে শেখ জামালের জয়

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 18:03 বুধবার, 27 মার্চ, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

বিপিএলের পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরার ম্যাচে সিটি ক্লাবের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ১৪ বলে ১৯ রান করেছিলেন সাকিব আল হাসান। পরের ম্যাচে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৩৪ রান। দুই ম্যাচ খেলার পর অবশেষে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেলেন সাকিব। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ৬৫ বলে খেলেছেন ৫৩ রানের ইনিংস, বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে সাকিবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ৩৯ রানের জয় পেয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ৩ নম্বর মাঠে ২৩৪ রান তাড়ায় শুরুতেই উইকেট হারায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। ইনিংসের প্রথম ওভারে জিয়াউর রহমানের অফ স্টাম্পের বাইরের লাফিয়ে ওঠা ডেলিভারিতে টপ এজ হয়ে বল চলে যায় গালিতে। দ্বিতীয় স্লিপ থেকে ইয়াসির আলী রাব্বি ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ নিলে ১ রানে ফিরতে হয় হাবিবুর রহমান সোহানকে। প্রথম উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন আনিসুল ইসলাম এবং মেহেদী মারুফ। যদিও তাদের দুজনের জুটি খুব বেশি বড় হতে দেননি সাকিব।

বাঁহাতি এই স্পিনারের মিডল স্টাম্পের ডেলিভারিতে স্লগ করতে গিয়ে শর্ট কাভারে থাকা সাইফ হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ২২ রান করা আনিসুল। দলের রান পঞ্চাশ হওয়ার আগে আউট হয়েছেন সাব্বির হোসেন শিকদার। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরির অফ স্টাম্পের বাইরের বাউন্সারে কাট করতে গিয়ে টিপু সুলতানকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। গত ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে জেতানো সাব্বির এদিন আউট হয়েছেন মাত্র ১ রানে।

সাব্বিরের পাশাপাশি প্রীতম কুমার এবং আল আমিন জুনিয়রকেও ফিরিয়েছেন মৃত্যুঞ্জয়। এদিকে সাকিব নিজের দ্বিতীয় উইকেট হিসেবে তুলে নিয়েছেন মাহফুজুর রহমান রাব্বিকে। শেষদিকে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছিলেন মইন খান। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন আব্দুল গাফফার সাকলাইন। শেষ বিকেলে বৃষ্টি বাঁধা হয়ে দাঁড়ালে গাজী গ্রুপের জন্য লক্ষ্য দেয়া হয় ৪৫ ওভারে ২৩২ রান। তবে ১৯২ রানে অল আউট হয়ে যায় তারা। শেখ জামালের হয়ে মৃত্যুঞ্জয় তিনটি এবং সাকিব নিয়েছেন দুটি উইকেট।

এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে শেখ জামালকে বেশ ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার সাইফ এবং সৈকত আলী। তাদের দুজনের জুটি ভাঙেন মাহফুজুর রাব্বি। বাঁহাতি এই স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন সৈকত। তবে বলের লাইন মিস করায় বোল্ড হয়ে ফিরতে হয়েছে ২৪ রান করা এই ওপেনারকে। আরেক ওপেনার সাইফ টিকে থাকলেও হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি তার। রান আউট হয়ে ফেরার আগে সাইফের ব্যাট থেকে এসেছে ২৮ রান।

তিনে নেমে শেখ জামালকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন সাকিব। তবে ফজল মাহমুদ রাব্বি, নুরুল হাসান সোহানরা কেউই সাকিবকে সঙ্গ দিতে পারেননি। যদিও চিরচেনা ব্যাটিংয়ে ঠিকই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর সাকিব আউট হয়েছেন ৫৩ রানে, গাফফারের বলে প্রীতমকে ক্যাচ দিয়ে। শেষদিকে জিয়াউরের ৫৫ এবং তাইবুরের ২৫ রানের কল্যাণে ২৩৩ রানের পুঁজি পায় বর্তমান রানার্সআপরা। গাজী গ্রুপের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন গাফফার এবং রুয়েল মিয়া।