ডিপিএল

টানা জয়ে আবাহনীর পাঁচে পাঁচ

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 21:45 রবিবার, 24 মার্চ, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

টানা জয়ে উড়তে থাকলেও সিটি ক্লাবের বিপক্ষে ২১৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি আবাহনী লিমিটেড। নাইম শেখ এবং আফিফ হোসেনে সেঞ্চুরিতে মামুলি পুঁজি পেয়েছিল তারা। ম্যাচ জেতার জন্য অবশ্য যথেষ্ট হয়েছে সেই রানই। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দারুণ বোলিংয়ের সামনে ১৬৫ রানে গুটিয়ে যায় সিটি ক্লাব। শক্তিমত্তায় পিছিয়ে থাকা দলকে ৫২ রানে হারিয়ে টানা পাঁচ জয়ের দেখা পেল আবাহনী।

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ৪ নম্বর মাঠে এদিন টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে আবাহনী। রাতে বৃষ্টি হওয়ায় খানিকটা দেখেশুনেই খেলছিলেন এনামুল হক বিজয় ও নাইম। যদিও তাদের জুটি খুব বেশি বড় হতে দেননি সোহেল রানা। সিটি ক্লাবের এই পেসারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন বিজয়। আবাহনীর ওপেনারকে ফিরতে হয় ৭ রানে।

তিনে নামা সাব্বির হোসেনের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন নাইম। তবে নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি সাব্বির। ১০ রান করা এই ব্যাটারকে ফিরিয়ে তাদের দুজনের ৪৪ রানের জুটি ভাঙেন রনি চৌধুরি। সাব্বির ফেরার পর নাইমকে সঙ্গ দেন জাকের আলী অনিক। জাতীয় দলে ডাক পাওয়ায় মাঝে কয়েকটি ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি।

এদিকে সাবধানী ব্যাটিংয়ে ৭১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন নাইম। হাফ সেঞ্চুরির পর অবশ্য বাঁহাতি এই ওপেনারকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি নাইমুর রহমান নয়। তরুণ এই স্পিনারকে সুইপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়েছেন নাইম। আবাহনীকে পথ দেখানো এই ব্যাটারকে ফিরতে হয় ৭ চারে ৭৯ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে। ম্যাচের হাল ধরার চেষ্টা করলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি জাকের।

নয়েনর অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে কাভারে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন ৪৬ বলে ২০ রান করা জাকের। এদিন ডিপিএলের এবারের মৌসুমে নিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামেন তাসকিন আহমেদ। যদিও প্রথম বলেই আউট হয়েছেন নয়নকে উইকেট দিয়ে। অন্য পাশে রান তুলতে থাকেন আফিফ। অন্যদের ব্যর্থতার মাঝে দাঁড়িয়ে ৭২ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। সাইফউদ্দিন ২৩ রানে ফিরলেও আফিফ অপরাজিত ছিলেন ৮৩ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলে।

২১৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেম উদ্বোধনী জুটিতে ৩২ রান তুলে সিটি ক্লাব। কিন্তু ১৭ রান করে সাদিকুর রহমান ফিরলে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে দলটি। ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে মাত্র ৭৪ রানেই ৬ উইকেট হারায় তারা। মাঝে মমিনুল ইসলাম ৩০ ও মোহাম্মদ ইরফান হোসেন করেন ৩১ রান। অবশ্য তাদের এই লড়াই শুধুমাত্র দলটির পরাজয়ের ব্যবধান কমাতে পেরেছে। আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন সাইফউদ্দিন ও মোসাদ্দেক। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন নাহিদুল ইসলাম ও তাসকিন।