|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর চোটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে অধিনায়কত্ব করতে নামছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এবারই প্রথমবারের মতো সাদা পোশাকে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিতে চলেছেন তিনি। ফলে ম্যাচটি নিশ্চিতভাবেই তার কাছে ভিন্ন মর্যাদা পাবে।
যদিও এর পেছনে অন্য আরেকটি কারণও আছে। মিরাজ তার ক্যারিয়ারের ৫০তম টেস্ট খেলতে নামছেন অ্যান্টিগাতে। এই মাইলফলকের ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেয়া বাড়তি অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে তার। এই অর্জনকে বড় প্রাপ্তি হিসেবে উল্লেখ্য করেছেন মিরাজ।
বাংলাদেশ অধিনায়ক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘খুবই ভালো লাগছে। এটা দেশের জন্য, আমার জন্য অনেক বড় একটা পাওয়া। আমার মনে হয় দেশের জন্য ৫০টা টেস্ট খেলা অনেক বড় প্রাপ্তি। এখন এটা যেন স্মরণীয় করতে পারি, সেটাই আমার লক্ষ্য।’
সর্বশেষ ২০২২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে স্বাগতিকদের হারানোর সুখস্মৃতিও আছে বাংলাদেশের। মিরাজ জানিয়েছেন সর্বশেষ সিরিজের হতাশার স্মৃতি পেছনে ফেলে ক্যারিবীয়দের হারাতে চান তারা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য থাকবে ভালো ক্রিকেট খেলা। কারণ, এর আগে আমরা যখন এখানে খেলেছিলাম, টেস্টে আমরা অতটা ভালো করতে পারিনি। গত চার বছরে আমরা যদি দেখি, এখানে দুইটা টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলাম, কিন্তু জিততে পারিনি। আমাদের লক্ষ্য থাকবে জেতার এবং সবাই যেন পারফর্ম করতে পারে।’
সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশকে ভয় দেখাচ্ছে আরেকটি পরিসংখ্যান। এ নিয়ে অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ৬ ম্যাচ খেলে সব কটিই হেরেছে বাংলাদেশ। এবার নতুন করে শুরু করার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সিরিজ শুরুর আগে প্রায় দশদিন আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজে খুঁটি গেড়েছে বাংলাদেশ। প্রস্তুতিও ভালো হয়েছে জানিয়ে রাখলেন মিরাজ।
তিনি বলেন, ‘অ্যান্টিগাতে এর আগে আমরা ভালো টেস্ট ক্রিকেট খেলিনি। খুব বাজেভাবে হেরেছিলাম। কিন্তু এবার আমরা নতুনভাবে এসেছি। আমরা এখানে প্রায় ১০ দিনের মতো অনুশীলন করেছি, একটা প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছি। খেলোয়াড়েরাও খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে। আমি অনেক আত্মবিশ্বাসী যে আমার দল অনেক ভালো করবে। সবাই ভালো ক্রিকেট খেলে আমরা যেন ম্যাচটা জিততে পারি। ব্যাটসম্যানরা, বোলাররা, সবাই যেন ভালো পারফর্ম করতে পারি, সেটাই হচ্ছে লক্ষ্য। যদি আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে খেলতে পারি, আশা করি এই টেস্টে ভালো একটা ফল আসবে।’