|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
চারিদিকে চলছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) নিলাম নিয়ে তোড়জোড়। বিশ্বের জনপ্রিয় এই ফ্র্যঞ্চাইজি লিগের মেগা নিলাম নিয়ে ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে ক্রিকেটাররাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন। এরই মধ্যে জানা গেছে আইপিএলের আগামী আসর মাঠে গড়াচ্ছে ১৪ মার্চ থেকে।
এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে আগামী ২৫ মে। এর পরের দুই আসরেরও দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেছে আইপিএলের আয়োজকরা। ২০২৬ সালের আইপিএলের আসর শুরু হবে ১৫ মার্চ থেকে আর ফাইনালে মাঠে গড়াবে ৩১ মে। আর ২০২৭ সালে বিলিয়ন ডলারের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ অনুষ্ঠিত হবে ১৪ মার্চ থেকে আর পর্দা নামবে ৩০ মে।
এরই মধ্যে ইমেইলের মাধ্যমে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে আগামী তিন আসরের দিনক্ষণ জানিয়ে দিয়েছে আইপিএলের আয়োজকরা। এমনটাই জানিয়েছে ক্রিকেটের জনপ্রিয় পোর্টাল ইএসপিএন ক্রিকইনফো। তবে কবে কখন কোথায় হবে আইপিএলের ম্যাচগুলো সেগুলো বিস্তারিত জানায়নি তারা।
নিশ্চিত হওয়া গেছে আইপিএলের আগামী আসরে মোট ৭৪টি ম্যাচ হবে। যা আইপিএলের ২০২২ আসরের তুলনায় অনেকটাই কম। সেবার আইপিএলে মোট ম্যাচ হয়েছিল ৮৪টি। তবে ২০২৩ ও ২০২৪ সালের আইপিএলে ম্যাচ হয়েছিল ৭৪টি করেই। যদিও এর আগে বলা হয়েছিল ক্রমানুযায়ী আইপিএলের আসরগুলোতে ম্যাচের সংখ্যা অনেকটাই বাড়বে।
২০২৭ সালে ফাইনালেসহ মোট ৯৪টি ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই)। এদিকে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিরা পাকিস্তান ছাড়া প্রায় সকল দেশের তারকা সব ক্রিকেটারের আগামী তিন বছরের আইপিএলে খেলার নিশ্চয়তা পেয়েছেন।
এর মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও ১৩ ক্রিকেটারকে আইপিএলে খেলার জন্য সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন তাসকিন আহমেদ, লিটন কুমার দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাকিব আল হাসান, রিশাদ হোসেন, তাওহীদ হৃদয়, শরিফুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, শেখ মেহেদী, মুস্তাফিজুর রহমান, নাহিদ রানা ও তানজিম হাসান সাকিব।
তবে তাদের তিন মৌসুমেই পাওয়া যাবে কিনা তা অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করছে। কারণ এর আগেও অনেক সময় ক্রিকেটারদের এনওসি নিয়ে তালবাহানা করেছে দেশের ক্রিকেট বোর্ড। অনেক ক্রিকেটারকে এজন্য আইপিএলে খেলার সুযোগ বিসর্জন দিতে হয়েছে। বিসিবি এরপর ক্রিকেটারদের ক্ষতিপূরণ দিলেও আইপিএলের দলগুলো বিসিবির প্রতি ছিল অখুশি। তবে এবার থেকে হয়তো সেই রীতি ভাঙতে যাচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়া তাদের সব আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা ক্রিকেটারদের আইপিএলে খেলার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে। ইংল্যান্ড উন্মুক্ত করে দিয়েছে তাদের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ১৮ ক্রিকেটারকে। তারা আইপিএলের তিন আসরেই খেলতে পারবেন বলেও নিশ্চয়তা দিয়েছে ইসিবি।
এর মধ্যে আছে জোফরা আর্চার, গাস অ্যাটকিনসন, জনি বেয়ারস্টো, হ্যারি ব্রুক, জস বাটলার, স্যাম কারান, লিয়াম লিভিংস্টোন ও রিস টপলির মতো ক্রিকেটার। আইপিএলে খেলার অনুমতি পেয়েছেন সাউথ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটাররাও। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকেও এবারের মৌসুমের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে সব ক্রিকেটারদের। ২০২৬ ও ২০২৭ মৌসুমে রিটেইন করা ক্রিকেটাররাও খেলতে পারবেন আইপিএলে।