|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের উইকেটে দ্বিতীয় ইনিংসে দুইশ পার করা যেন অনেকটা এভারেস্ট জয়ের মতো। শারজাহর চিরচেনা উইকেট একই আচরণ করবে, এমনটা ভেবেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজও। টস জিতে তাই ব্যাটিং নিতে একদমই সময় নিলেন না নাজমুল হোসেন শান্তর চোটে সহ-অধিনায়ক থেকে অধিনায়কের দায়িত্ব নেয়া মিরাজ। তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার মিলে ভালো শুরু এনে দিলেও ৮ ওভার পর এসে পা হড়কায় বাংলাদেশের।
তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে শুরু করলো বাংলাদেশের ব্যাটিং ইউনিট। বিনা উইকেটে ৫৩ রান করা সফরকারীরা ৭২ রানে যেতেই নেই ৪ উইকেট। এমন অবস্থায় মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ মিলে জুটি গড়লেন, বাংলাদেশকে রক্ষাও করলেন। মিরাজ ৬৬ রানে ফেরার পর মাহমুদউল্লাহ খেলেছেন শেষ বল পর্যন্ত। সেঞ্চুরি আশা জাগিয়ে ডানহাতি ব্যাটারকে অবশ্য খুশি থাকতে হয়েছে ৯৮ রানে রান আউটে কাটা পড়ে।
২৪৫ রান তাড়ায় সেদিকউল্লাহ অটলকে দ্রুতই ফেরালেন নাহিদ রানা। তাসকিন আহমেদ না থাকায় যেন রহমানুল্লাহ গুরবাজেরও ফেরার নাম নেই। তবে বাংলাদেশকে সুযোগ যে একেবারে দেননি সেটা বলার সুযোগ নেই। ২৪ রানে ক্যাচ, ৪৮ রানে রান আউট, ৫৬ রানে স্টাম্পিং এবং ৮২ রানে আরও একবার রান আউট মিস করে আফগান ওপেনারকে সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররাই।
প্রথম দুই ম্যাচে দাঁড়াতেই না পারা রহমানুল্লাহ গুরবাজ খেললেন ১০১ রানের ইনিংস। বাকি কাজটা সারলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও মোহাম্মদ নবি। বল হাতে ৪ উইকেট নেয়া ওমরজাই অপরাজিত থাকলেন ৭০ রানে। শেষ পর্যন্ত ১০ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে বাংলাদেশকে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিয়েছে আফগানিস্তান। অধিনায়ক মিরাজের শুরুটাও হলো তাই হার দিয়ে।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে সিরিজ হার নিয়ে মিরাজ বলেন, ‘কঠিন ছিল। ছেলেরা ভালো করেছে। রিয়াদ ভাই ও আমি একটা জুটি করতে পেরেছি। বোলাররা অনেক চেষ্টা করেছে। তবে আমরা মাঝের ওভারে উইকেট নিতে পারিনি।’
প্রথম দুই ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পেলেও তৃতীয় ওয়ানডেতে শিশির থাকায় ব্যাটাররা বাজিমাত করেছেন। ব্যাটে বল আসায় অনায়াসে খেলেছেন গুরবাজ, ওমরজাই, নবিরা। আফগান ব্যাটারদের অবশ্য কৃতিত্ব দিচ্ছেন মিরাজ। তবে মাঝের ওভারে উইকেট নিতে না পারাকেও দুষছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। সেই সময় উইকেট নিতে পারলে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব ছিল বলে মনে করেন তিনি।
মিরাজ বলেন, ‘আমরা গত দুই ম্যাচে দেখেছি উইকেটে যথেষ্ট স্পিন আছে। এই জন্যই আমরা প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরে শিশির আসায় বল তুলনামূলকভাবে ভালো ব্যাটে আসছিল। কৃতিত্ব ওদের। ওরা খুব ভালো খেলেছে। বিশেষ করে গুরবাজ ও ওমরজাই। আমরা মাঝের ওভারে উইকেট নিইনি। আমাদের ওই সময় উইকেট নেওয়া উচিত ছিল। সেটা করতে পারলে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারতাম।’