|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ভারত সফরে কানপুর টেস্টের আগে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ক্রিকেটের দুই সংস্করণ ছাড়লেও ওয়ানডে থেকে নিজেকে সরিয়ে নেননি তিনি। সেদিনই অবশ্য সাকিব নিশ্চিত করেছিলেন আগামী বছর পাকিস্তানে হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন ট্রফি পর্যন্ত খেলার ৫০ ভারের ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার কথা। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিনটি এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ।
মাত্র ছয়টি ওয়ানডে ম্যাচ দিয়েই ৫০ ওভারের টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি নিতে হবে নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাসদের। প্রস্তুতিটা শুরু হচ্ছে নভেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হতে যাওয়া তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে। সেখানে সাকিব থাকবেন নাকি থাকবেন না চারপাশে সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে গত কয়েকদিন ধরেই। তাইগাজী আশরাফ হোসেন লিপুর নির্বাচক প্যানেল এখন পর্যন্ত দল ঘোষণা না করায় নিশ্চিত হওয়াটাই কঠিন।
ফারুক আহমেদ অবশ্য আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সাকিবের থাকার ইঙ্গিতই দিলেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভার আগে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সভাপতি ফারুক বলেন, ‘সাকিব আল হাসানের ব্যাপারটা… এখনও যেহেতু দল দেয়নি (ঘোষণা হয়নি), আমার মনে হয় অ্যাভেইলঅ্যাবল আছে সে।’
কানপুরে টেস্ট ছাড়ার ঘোষণা দিলেও বাংলাদেশের মাটিতে নিজের সাদা পোশাকের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটা খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব। বিসিবি সভাপতি ফারুক ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের নানারকম মন্তব্যের পর অবশেষে দেশে ফেরার সবুজ সংকেত পেয়েছিলেন তারকা অলরাউন্ডার। দেশের ক্রিকেট বোর্ডও সব বন্দোবস্ত করে রেখেছিল। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট খেলতে যুক্তরাষ্ট্র থেমে দুবাইয়ে এসে পৌঁছেছিলেন সাকিব।
বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের দেশে ফেরার খবরে মিরপুর স্টেডিয়ামের প্রধান ফটকের সামনে ‘ছাত্র-জনতার’ ব্যানারে বিক্ষোভ করেন একটি পক্ষ। পরিস্থিতি বেগতিক হওয়ায় সাকিবকে দেশে না আসার পরামর্শ দেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। যার ফলে ইচ্ছে থাকলেও দেশের মাটিতে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটা খেলা হয়নি সাকিবের। ফারুক জানিয়েছেন, সাকিবের শেষ টেস্ট না খেলার ব্যাপারে বিসিবি জড়িত নয়।
এ প্রসঙ্গে ফারুক বলেন, ‘আপনি যেটা বললেন যে শেষ টেস্ট খেলতে ফিরতে পারেনি… একেবারেই আমরা কোনোভাবে জড়িত নই এই ব্যাপারটায়। এটা হলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকার ও সাকিব আল হাসান (তাদের ব্যাপার)..। এখানে আমাদের পুরোপুরি অক্সিলারি একটা পার্ট নেওয়ার কথা ছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনাদের সামনে যত কথাই বলি, আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি যাতে সাকিব আল হাসান দেশ থেকে অবসরে যেতে পারে। আমার চেষ্টা আমি করেছি।’
সাকিব যে শুধুমাত্র একজন ক্রিকেটার নয় সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন ফারুক। তিনি বলেন, ‘কিন্তু সাকিব এখন শুধু একজন খেলোয়াড় নয়। তার একটা পরিচয় আছে যে, গত সরকারের একজন এমপি ছিল এবং কিছু সেন্টিমেন্ট আছে (তাকে নিয়ে)। সব মিলিয়ে সরকারের দৃষ্টিকোণ ও ক্রিকেট বোর্ডের দৃষ্টিকোণ তো এক নয়।’