আইপিএল

শীর্ষে ওঠা হলো না রাজস্থানের, টিকে রইল দিল্লি

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
Publish Date: 00:02 Wednesday, May 8, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

বড় লক্ষ্য তাড়ায় জস বাটলার, যশস্বী জয়সাওয়াল থেকে রিয়ান পরাগ কেউই ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি। রাজস্থান রয়্যালসের বিপদের দিনে একপ্রান্ত আগলে রেখে রান তুলে গেছেন সাঞ্জু স্যামসন। ৮৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেললেও সফরকারীদের জেতাতে পারেননি রাজস্থানের অধিনায়ক। দিল্লি ক্যাপিটালসে হারিয়ে শীর্ষে ওঠার সুযোগ থাকলেও সেটা লুফে নিতে পারেনি তারা। রাজস্থানের কাছে হারলে প্লে অফে যাওয়ার স্বপ্ন প্রায় অসম্ভব হয়ে যেতো দিল্লির জন্য। এমন ম্যাচে স্যামসনের দলকে ২০ রানে হারিয়ে টিকে রইল পান্তের দল।

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ২২২ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি রাজস্থানের। খলিল আহমেদের প্রথম বলে চার মারলেও পরের বলেই আউট হয়েছেন যশস্বী জয়সাওয়াল। বাঁহাতি এই পেসারের ষষ্ঠ স্টাম্পের ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন অক্ষরের হাতে ক্যাচ দিয়ে। বাটলারও ধুঁকেছেন দিল্লির বোলারদের বিপক্ষে। তবে এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ছিলেন স্যামসন।

রাজস্থানের অধিনায়ক রীতিমতো তাণ্ডব চালাতে থাকেন। স্যামসন যখন দ্রুত রান তুলছিলেন তখন সাজঘরে ফিরেছেন বাটলার। অক্ষরের লেংথ ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন ১৯ রান করা এই ব্যাটার। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর রান তোলার গতি কমে সফরকারীদের। ভালো শুরুর চেষ্টা করলেও প্রত্যাশিতভাবে রান তুলতে পারেননি রিয়ান পরাগ। রাসিখ সালামের স্লোয়ার ডেলিভারিতে আউট হওয়ার আগে করেছেন ২২ রান। এরপর কুলদীপ যাদবের বলে ছক্কা মেরে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন স্যামসন।

দারুণ ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন রাজস্থানের অধিনায়ক। তবে ৮৬ রানের সময় উড়িয়ে মারতে গিয়ে সীমানায় দাঁড়িয়ে থাকা শাই হোপের হাতে ধরা পড়েছেন। ঝড়ো শুরু করা শুভম দুবে আউট হয়েছেন ১২ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলে। শেষ দিকে আর কেউ দাঁড়াতে না পারায় দিল্লির কাছে ২০ রানে হারতে হয়েছে রাজস্থানকে। দিল্লির হয়ে এদিন দুটি করে উইকেট নিয়েছেন কুলদীপ, মুকেশ কুমার এবং খলিল।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দিল্লিকে দারুণ শুরু এনে দেন জেইক-ফ্রেজার ম্যাকগার্ক। সুযোগ পাওয়ার পর থেকে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে দিল্লিকে ভালো শুরু এনে দেয়ার দায়িত্বটা নিজ কাঁধেই নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এই ওপেনার। রাজস্থানের বিপক্ষেও আলাদা কিছু হয়নি। ট্রেন্ট বোল্ট, সন্দীপ শর্মাদের বিপক্ষে চার-ছক্কায় দিল্লিকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছেন ম্যাকগার্ক। আভেষ খানের ফুলটস ডেলিভারিতে লং অন দিয়ে ছক্কা মেরে মাত্র ১৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি।

ডানহাতি পেসার আভেষের করা ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ম্যাকগার্ক দুই ছক্কার সঙ্গে মেরেছেন চারটা চার। যদিও পরের ওভারেই আউট হয়েছেন তরুণ এই ওপেনার। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের হাই ফুলটস ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন ফেরেইরার হাতে। ম্যাকগার্কের ব্যাট থেকে এসেছে ২০ বলে ৫০ রানের ইনিংস। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে রান আউটে কাটা পড়েছেন শাই হোপ। দুই উইকেট হারানোর পরও দিল্লিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন অক্ষর ও অভিষেক পোরেল। তাদের দুজনের জুটি ভাঙেন অশ্বিন।

ডানহাতি এই অফ স্পিনারের অফ স্টাম্পের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে ওয়াইড লং অফ দিয়ে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন পরাগের হাতে। এদিকে ম্যাকগার্কের মতো ছক্কা মেরে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন পোরেলও। তবে দ্রুত রান তুলতে থাকা বাঁহাতি এই ওপেনারকে ফিরিয়ে রাজস্থানকে বিপদ মুক্ত করেন অশ্বিন। পোরেল সাজঘরে ফিরেছেন ৩৬ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলে। ব্যাট হাতে এদিন সুবিধা করতে পারেনি পান্ত।

দিল্লির অধিনায়ক আউট হয়েছেন মাত্র ১৫ রানে। একাদশে সুযোগ পেলেও প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি গুলবাদিন নাইব। আফগানিস্তানের এই অলরাউন্ডার সাজঘরে ফিরেছেন ১৯ রানে। শেষ দিকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দিল্লির রান বাড়িয়েছেন ট্রিস্টিয়ান স্টাবস। প্রোটিয়া এই ব্যাটার খেলেছেন ২০ বলে ৪১ রানের ইনিংস। যার ফলে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২১ রানের বড় পুঁজি পায় দিল্লি। রাজস্থানের হয়ে এদিন একাই ৩ উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন।