ডিপিএল

ডিপিএল ‘ক্লাসিকোতে’ হেরেও রানার্সআপ মোহামেডান

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
Publish Date: 18:34 Friday, May 3, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

নাহিদুল ইসলামের লেগ স্টাম্পের ফুলার ডেলিভারিতে লেগ সাইডে পুশ করতে চেয়েছিলেন আরিফুল হক। তবে বলের লাইন মিস করে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে ফিরতে হয় তাকে। আরিফুলের বিদায়ে ১৯৮ রানে ৬ উইকেট হারায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। রনি ‍তালুকদার ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনদের ব্যর্থতায় দ্রুতই জয়ের সুযোগ তৈরি হয় আবাহনী লিমিটেডের। সবশেষ কয়েক বছরে সমর্থকরা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের জমজমাট লড়াই দেখার আশায় থাকলেও সেটা খুব একটা দেখা যায়নি। গ্রুপ পর্বের মতো সুপার লিগের চতুর্থ রাউন্ডে এসেও উঁকি দেয় একতরফা ম্যাচে। তবে সেটা বদলে যায় সপ্তম উইকেট জুটিতে।

ম্যাচ জিততে শেষ ১০ ওভারে মোহামেডানের প্রয়োজন ছিল ১০৬ রান। ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলায় এমন সমীকরণ মেলানো মোহামেডানের জন্য কষ্টসাধ্যই ছিল। যদিও আবু হায়দার রনি এবং রুবেল মিয়ার ব্যাটে জয়ের খুব কাছে যায় তারা। শেষ ওভারে মোহামেডানের ২৭ রান প্রয়োজন হলে আবু হায়দার ও রুবেল মিলে করতে পেরেছে মাত্র ১৭ রান। যার ফলে আবু হায়দারের ৪০ এবং রুবেলের ৬৫ রানের ইনিংসের পরও ৯ রানে হারতে হয়েছে মোহামেডানকে। ডিপিএল ক্লাসিকোতে হেরেও এবারের আসরে রানার্স আপ হয়েছে ইমরুল কায়েসের দল।

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ৩০৪ রান তাড়ায় মোহামেডানকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার রনি এবং হাবিবুর রহমান মুন্না। আল ফাহাদের করা প্রথম ওভারেই ১৩ রান এনেছেন তারা দুজন। পরের ওভারে জায়েদ উল্লাহ দিয়ে গেছেন ৯ রান। যেখানে বেশিরভাগ রান এসেছে হাবিবুরের ব্যাট থেকে। তখন পর্যন্ত রানের খাতা খুলতে পারেননি রনি। চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত নিজের উইকেট দিয়ে এসেছেন ডানহাতি এই ওপেনার।

ফাহাদের অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে গিয়ে এজ হয়ে উইকেটের পেছনে থাকা এনামুল হক বিজয়ের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়েছেন ৮ বলে শূন্য রান করা রনি। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে ফিরেছেন আরেক ওপেনার হাবিবুরও। নাহিদুলের লেংথ ডেলিভারিতে সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ২৫ রান করা এই ব্যাটার। ৪৫ রানে ২ উইকেট হারানোর পর মোহামেডানের হাল ধরেন ইমরুল ও মাহিদুল অঙ্কন।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৮৭ রান। হাফ সেঞ্চুরিয়ান ইমরুলের বিদায়ে ভাঙে তাদের এই জুটি। রাকিবুল হাসানের শর্ট পিচ ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে জারিফ রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৫৯ রানের ইনিংস খেলা মোহামেডানের অধিনায়ক। কয়েকওভার পর ফিরেছেন মাহিদুল অঙ্কনও। ৩৬ রান করা এই ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন নাহিদুল। মেহেদী হাসান মিরাজ ২৭ এবং আরিফুল ২০ রানে ফিরলে বিপদে পড়ে মোহামেডান।

যদিও সেখান থেকে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ক্লাবকে পথ দেখান রুবেল ও আবু হায়দার। তাদের দুজনের ৯৬ রানের জুটিতে জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল তারা। কিন্তু আবাহনীর সঙ্গে পেরে উঠতে পারেনি মোহামেডান। আবাহনীর হয়ে একাই ৩ উইকেট নিয়েছেন নাহিদুল। এ ছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন ফাহাদ, জায়েদ উল্লাহ এবং রাকিবুল।

এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৩০৩ রানে অল আউট হয় আবাহনী। ব্যাট হাতে এদিন বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের টেনেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও সাব্বির হোসেন। ২০১৮ সালের পর এদিনই প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মোসাদ্দেক। ১০ ছক্কা ও ৮ চারে ১০১ বলে আবাহনীর অধিনায়ক খেলেছেন ১৩৩ রানের ইনিংস। এ ছাড়া সাব্বির করেছেন ৯১ রান। মোহামেডানের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন আবু হায়দার এবং মিরাজ।