জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল)
জাহানারার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে শিরোপা জিতল সিলেট
|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জাহানারা আলমের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে চট্টগ্রাম বিভাগকে ২ উইকেটে হারিয়ে মেয়েদের জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিলেট বিভাগ। জাহানারা বল হাতে চমক দেখানোর পর ব্যাট হাতেও দলের জয়ে দারুণ অবদান রেখেছেন।
ফলে টানা দ্বিতীয় বারের মতো জাতীয় লিগের শিরোপা জিতেছে সিলেটের দলটি। আগে ব্যাট করে মাত্র ১৪২ রানে অল আউট হয়েছিল চট্টগ্রাম বিভাগ। জবাবে খেলতে নেমে ২ উইকেট আর ১৪ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে সিলেট।
ছোটো লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিংয়ে ৩০ রানের জুটি গড়েছিলেন মুনতাহা খাতুন ও মুরশেদা খাতুন। মুরশেদা ১৪ রান করে ফিরলে এই জুটি ভাঙে। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুনতাহাও। তিনি ফিরেছেন ২০ রান করে। ফারজানা আকতার রানের খাতা খোলার আগেই আউট হয়েছেন।
চতুর্থ উইকেটে তাজ নাহারকে নিয়ে দলের রানের চাকা সচল রেখেছিলেন শায়লা শারমিন। তবে তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি তাজ। তিনি আউট হয়েছেন ১০ রান করে। একপ্রান্ত আগলে রাখা শায়লা ২০ রান করে আউট হয়েছেন।
লোয়ার মিডেল অর্ডারে জাহানারা আলমের ২৫ রান, দলের জয়ে অনেকটাই নিশ্চিত করে দিয়েছিল। শেষ দিকে সান্দিহা ইসলাম ৪ রান ও ইসমাত জাহান ১১ রান করে ফিরে গেলেও দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা ও মুরশিদা নাজনিন।
চট্টগ্রামের হয়ে একাই ৩ উইকেট নিয়েছেন রাশেদা খাতুন, ২টি উইকেট গেছে লাবনী আকতারের ঝুলিতে। তাছাড়া ১টি করে উইকেট পেয়েছেন শেহনাজ পারভিন ও সোবহানা মোস্তারি।
এর আগে, এই ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সিলেটের অধিনায়ক জাহানারা আলম। ব্যাটিংয়ে নেমে ফারজানা আকতারের ২৪, সাথী রানীর ১০ ও সোবহানা মোস্তারির ৫৯ রানে ভর করে ৩ উইকেট হারিয়ে ১১৪ রান তুলে নিয়েছিল চট্টগ্রাম।
এরপর একের পর উইকেট হারাতে থাকে চট্টগ্রাম। শেষ ২৮ রানে দলটি ৭ উইকেট হারিয়ে বড় স্কোর গড়তে ব্যর্থ হয়েছে। শেষ ৮ ব্যাটসম্যানের কেউই দুই অঙ্কে পৌঁছুতে পারেননি। ফলে দলটি ১৪২ রানে গুটিয়ে যায়।
সিলেটের হয়ে ২৪ রানে ৪ উইকেট নেন জাহানারা আলম। ৩টি উইকেট নিয়েছেন শায়লা শারমিন। ২টি উইকেট গেছে মুরশিদা নাজনিনের ঝুলিতে। ১টি উইকেট পেয়েছেন সানজিদা জান্নাত।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
চট্টগ্রাম বিভাগঃ ১৪২/১০ (৪৮.৩ ওভার)
(সোভনা ৫৯, ফারজানা ২৪; জাহানারা ৪/২৪)
সিলেট বিভাগঃ ১৪৫/৮ (৪৭.৪ ওভার)
(জাহানারা ২৫, শায়লা ২১, মুনতাহা ২০; রাশেদা ৩/৩৯)