|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২১৯ রানের ইনিংস খেলে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন বাংলাদেশ দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দুইটি ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো একমাত্র উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান তিনি।
মুশফিক জানিয়েছেন বড় ইনিংস খেলতে এই কিপিংটাই সাহায্য করে তাকে। কিপিংকে একটা প্রক্রিয়া মনে করেন তিনি। এই প্রক্রিয়াতেই বিশ্বাসী মুশফিক। দুইটি ডাবল সেঞ্চুরির ফলে মুশফিকের কিপিং করার কারণ আরও জোড়ালো হয়েছে।
"কিপিং যেটা বলি আমাকে অনেক বেশি সাহায্য করে। এমন নয় কিপিং করলে আমি প্রতি ম্যাচেই একশ বা দুইশ করব। কিন্তু কিপিংটা একট প্রক্রিয়া এবং আমি প্রক্রিয়ায় অনেক বেশি বিশ্বাসী। আমার মনে হয় এটা অনেক সাহায্য করে। এখন টিম ম্যানেজমেন্ট যেটা চাইবে সেটা তো তাদের ব্যাপার। সেভাবে অবদান রাখতে চেষ্টা করি।"
অনেক সময় কিপিংটা বোঝা হয়েও দাঁড়ায়। সেই সময় এটাকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেন মুশফিক। এটাই উপভোগ করেন তিনি। মাঠে যতক্ষণ থাকেন তিনি দলের জন্য অবদান রাখতে চান। মুশফিকের বিশ্বাস কিপিংয়ের দায়িত্বটাই তাকে ভালো ফলাফল এনে দিতে পারে।
"অনেক সময় কিপিং করে বা ব্যাটিং করে চাপ বেশি হয়ে যায়। কিন্তু আমার জন্য এটা চ্যালেঞ্জ, এবং আমি চ্যালেঞ্জ উপভোগ করি। আমি চাই না এমন একটা মানুষ যে ড্রেসিংরুমে বসে থাকি। আমি যতক্ষণ মাঠে থাকব আমি যেন দলের জন্য কিছু করতে পারি, নইলে খারাপ লাগে। সামনে এই দায়িত্ব আমাকে দিলে আমার মনে হয় আমি ভাল ফলাফল দিতে পার।"
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরির ম্যারাথন ইনিংসে ৪২১ বল খেলেছেন তিনি। টেস্টে এক ইনিংসে এত বেশ বল বাংলাদেশের আর কেউ খেলেনি। সবচেয়ে বড় বিষয় এই ম্যাচে মুশফিক নিজের প্রিয় শট গুলো ছাড়াই ইনিংস লম্বা করেছেন। এটাকেই ব্যাটসম্যান হিসেবে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হিসেবে ধরছেন মুশফিক।
"চেঞ্জ যদি কিছু থাকে, তাহলে আমার দাঁড়িটা বড় হয়েছে। এছাড়া কিছু না। আগে খেয়াল করে দেখেন আমার প্রিয় শটে অনেক রান করেছি। কিন্তু এবার খেয়াল করে দেখেন আমি ওই শট ছাড়া অনেক রান করতে পেরেছি। শেষ পাঁচ সাত বছরে আমি লো রেঞ্জ শটেও অনেক বেশি রান করতে পারি। একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে এটা আমার জন্য অনেক বড় ব্যাপার।"