|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) রংপুর বিভাগ এবং সিলেট বিভাগের ম্যাচটির দ্বিতীয় ইনিংসে মাটি কামড়ে লড়াই করেছেন তানবির হায়দার এবং নবিন ইসলাম। ১৪৯ রানের জুটিতে রংপুরকে দ্বিতীয় ইনিংসে ২২০ রানের পুঁজিও এনে দেন এই দুজন। ফলে সিলেটের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৯০ রানের। জবাবে দুই উইকেটে ৫১ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করে সিলেট। ম্যাচটি জিততে আরও ১৩৯ রান প্রয়োজন তাদের।
বগুড়ার শহিদ চান্দু স্টেডিয়ামে পাঁচ উইকেটে ৬৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে রংপুর। আকবর আলী এবং তানবির হায়দারের শুরুটা জুটিটি টিকতে পারেনি। ২২ বলে পাঁচ রান করা রংপুর অধিনায়ককে বিদায় করেন খালেদ আহমেদ।
৬৯ রানে ছয় উইকেট হারানো দলটি পরবর্তী উইকেটটি হারায় ২১৮ রানে! মাঝে দারুণ এক প্রতিরোধ গড়ে তুলেন তানবির এবং নবিন ইসলাম। দারুণ এই জুটি ভাঙেন আসাদুল্লা আল গালিব। ১৮২ বলে ৬৩ রান করা নবিনকে কট এন্ড বোল্ড করেন তিনি।
তারপরের তিনটি উইকেটই নেন রাহাতুল ফেরদৌস। রবিউল হক এবং আবু হালিমকে রানের খাতা খোলার আগেই বোল্ড করেন তিনি। শেষ উইকেট হিসেবে বিদায় নেন তানবির। ফেরার আগে করেন ১৬৮ বলে ৭২ রান। সিলেটের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন তোফায়েল আহমেদ ও রাহাতুল।
এরপর ১৯০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২০ রানের মধ্যেই প্রথম উইকেট হারায় সিলেট। রবিউল হকের ইনসুইং ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হন তৌফিক খান তুষার। ১৭ বলে নয় রান আসে তার ব্যাটে। দলীয় পঞ্চাশ রান পূরণ হলে ফিরে যান মাইশুকুর রহমানও।
আবু হাসিমের বলে বোল্ড হন মাইশুকুর। ২৮ বলে ৯ রান করে পিনাক ঘোষকে সহায়তা করছিলেন তিনি। ৬০ বলে ২৮ রানে থাকা পিনাকের সঙ্গে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা রেজাউর রহমান রাজা (১*) চতুর্থ দিনের সূচনা করবেন।
ম্যাচটিতে প্রথম ইনিংসে রংপুর অলআউট হয় ১৫৮ রান তুলে। সিলেটের হয়ে তিনটি উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহী, খালেদ আহমেদ এবং রেজাউর রহমান রাজা। অমিত হাসানের হাফ সেঞ্চুরিতে সিলেট প্রথম ইনিংসে করে ১৮৯ রান।