জাতীয় ক্রিকেট লিগ

বিজয়ের ৫ রানের আক্ষেপ, ৪ হাফ সেঞ্চুরিতে খুলনার ৪০৮

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 21:40 সোমবার, 28 অক্টোবর, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সৌম্য সরকার আগের দিন রান আউটে কাটা পড়েছিলেন ৬৩ রান। আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয় অবশ্য সেঞ্চুরির পথে ছিলেন বেশ ভালোভাবেই। তবে নব্বইয়ের ঘরে মনোযোগ হারিয়ে বিজয় ফিরেছেন ৯৫ রানের ইনিংস। অভিজ্ঞ ব্যাটারের আক্ষেপের দিনে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন অমিত মজুমদার, শেখ মেহেদী হাসানও। ৪ হাফ সেঞ্চুরিতে খুলনা বিভাগ ইনিংস ঘোষণা করেছে ৯ উইকেটে ৪০৮ রান তুলে। শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে কোন উইকেট না হারিয়ে ২৮ রান করেছে বরিশাল বিভাগ।

শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে আগের দিনের ১ উইকেটে ১৩০ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন বিজয় ও অমিত। সকাল থেকেই সাবধানী ব্যাটিং করতে থাকেন তারা দুজন। ৯৫ রানের ইনিংস খেলা বিজয়কে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মইন খান। ডানহাতি স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের ফুল ডেলিভারিতে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে এজ হয়ে প্রথম স্লিপে থাকা সোহাগ গাজীকে ক্যাচ দিয়ে সেঞ্চুরি করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয়েছে বিজয়কে।

চারে নেমে সুবিধা করতে পারেননি ইমরুল কায়েস। বাঁহাতি ব্যাটারকে নিজের শিকার বানিয়েছেন তানভীর ইসলাম। বাঁহাতি স্পিনারের ঝুলিয়ে দেয়া ডেলিভারিতে স্ট্রেইট ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় তানভীরের হাতেই ক্যাচ দিয়েছেন ১৩ রান করা ইমরুল। অভিজ্ঞ ব্যাটার ফেরার পর মইনের লেংথ ডেলিভারিতে চার মেরে ৮৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন অমিত। হাফ সেঞ্চুরি করা বাঁহাতি ব্যাটারকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তানভীর।

বাঁহাতি স্পিনারের শর্ট অব লেংথ ডেলিভারিতে ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে লেগ বিফোর ‍উইকেট হয়েছেন ৬৭ রানের ইনিংস খেলা অমিত। পরবর্তীতে জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ মিঠুন ও নুরুল হাসান সোহান। যদিও তাদের দুজনের জুটি বড় হতে দেননি গাজী। ডানহাতি অফ স্পিনারের বলে ‍নূর মোহাম্মদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৫২ বলে ৩৭ রান করা মিঠুন। সেখান থেকে সোহান ও মেহেদী মিলে যোগ করেন ৫৭ রান। তাদের জুটি ভাঙেন সোহান। তানভীরের বলে জসিম উদ্দীনের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৪৪ রান করা সোহান।

শেষ দিকে জিয়াউর রহমান, নাহিদুল ইসলামরা সুবিধা করতে পারেননি। তবে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মেহেদী। লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিং করতে নেমে আউট হওয়ার আগে খেলেছেন ৮৮ বলে ৬৩ রানের ইনিংস। নাহিদুলের বিদায়ে ৯ উইকেট হারালে ৪০৮ রান নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে খুলনা। বরিশালের হয়ে একাই চার উইকেট নিয়েছেন তানভীর। এ ছাড়া কামরুল ইসলাম রাব্বি দুটি, মইন ও গাজী নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

খুলনার ইনিংস ঘোষণার পর তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নামে বরিশাল বিভাগে। ১৪.৪ ওভার ব্যাটিং করলেও কোন উইকেট হারাতে দেননি ইফতিখার হোসেন ইফতি ও আব্দুল মজিদ। দিন শেষে ইফতিখার অপরাজিত আছেন ৫৫ বলে ১৮ রানে। তাকে সঙ্গে দেয়া মজিদ অপরাজিত ৩৩ বলে ৯ রানের ইনিংস খেলে।