|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
গ্লেন ফিলিপসের লেংথ স্কয়ার লেগে ঠেলে দিয়ে এক রান নিয়ে সেঞ্চুরি করে ডন ব্র্যাডম্যানকে ছুঁয়েছিলেন কামিন্দু মেন্ডিস। গলে দ্বিতীয় টেস্টে ছুঁয়েছেন হাজার রানের রেকর্ডও। টানা দুই সেঞ্চুরিতে আইসিসির সেপ্টেম্বর মাসের সেরা হওয়ার তালিকায় জায়গা পেয়েছেন কামিন্দু। বাঁহাতি ব্যাটারের সঙ্গে কিউইদের হারানোর আরেক নায়ক প্রবাথ জয়াসুরিয়াও আছেন সেরা তিনে। শ্রীলঙ্কার দুজনের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড।
বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই সেঞ্চুরিতে স্বপ্নের মতো বছরটা শুরু করেন কামিন্দু। সেপ্টেম্বরে ৪ টেস্ট খেলা বাঁহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটার ৯০.২০ গড়ে ৪৫১ রান করেছেন। যেখানে জয় পাওয়া ওভাল টেস্টে হাফ সেঞ্চুরি এবং নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে দুই টেস্টেই সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। প্রথম ক্রিকেটের হিসেবে অভিষেকের পর ৮ টেস্টের প্রতি ইনিংসেই পঞ্চাশ পেরনো ইনিংস খেলেছেন তিনি।
৭৫ বছরের ইতিহাসে দ্রুততম হাজার রানের রেকর্ডও গড়েছেন ২৬ বছর বয়সী ব্যাটার। কিউইদের বিপক্ষে লঙ্কান আরেক জয়ের নায়ক জয়াসুরিয়া। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে হারলেও ৩ উইকেট নিয়েছিলেন বাঁহাতি স্পিনার। গলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ৯ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। যেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন।
দ্বিতীয় টেস্টেও ৯ উইকেট নিয়েছিলেন জয়াসুরিয়া। প্রথম ইনিংসে ৪২ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে একশর আগে গুটিয়ে দিতে অবদান রাখেন। এমন পারফরম্যান্সে মাসসেরার জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার। এর আগে ২০২২ সালের জুলাইয়ে মাসসেরার পুরস্কার পেয়েছিলেন জয়াসুরিয়া।
লঙ্কান দুই ক্রিকেটারের সঙ্গে মাসসেরার তালিকায় হেড। সেপ্টেম্বরে স্কটল্যান্ড এবং ইংল্যান্ড সফরে ব্যাট হাতে ৪৩০ রান করার পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। ইংলিশদের বিপক্ষে ১৫৪ রানের একটি ইনিংসও খেলেছিলেন নটিংহ্যামে। এ ছাড়া ব্রিস্টলে ডানহাতি স্পিনে ৪ উইকেট নিয়ে অজিদের জয় এনে দিয়েছিলেন। গত বছরের নভেম্বরে আইসিসির মাসসেরা হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা এই ব্যাটার।
মেয়েদের ক্রিকেটে মাসসেরার জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন ট্যামি বেমাউন্ট, অ্যামি ম্যাগুয়ের এবং এশা ওজা। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা ৫ ম্যাচে ২৭৯ রান করেছেন বেমাউন্ট। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাওয়া জয়ে বড় অবদান রেখেছেন ১৮ বছর বয়সী আইরিশ স্পিনার ম্যাগুয়ের। অলরাউন্ডার এশা ২০৯ রানের সঙ্গে বোলিংয়ে ৮ উইকেট নিয়েছেন ৬ টি-টোয়েন্টিতে।