ভারত- বাংলাদেশ সিরিজ

‘বিসিবি ব্যক্তিগতভাবে কাউকে নিরাপত্তা দিতে পারবে না’, সাকিব ইস্যুতে ফারুক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 20:50 বৃহস্পতিবার, 26 সেপ্টেম্বর, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন সাকিব আল হাসান। এ কারণে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদের কাছে নিরাপত্তাও চেয়েছিলেন তিনি। যদিও তাকে শুধুমাত্র বিসিবির পক্ষ থেকে নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ফারুক।

সরকার পতনের পর সাকিবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। কয়েকদিন আগে শেয়ার বাজারে কারসাজির কারণে তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সাকিবকে ব্যক্তিগতভাবে জরিমানা করার সঙ্গে তারই প্রতিষ্ঠান মোনার্ক মার্টকে আরও ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়ে। মূলত প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ার কারসাজিতে জড়িত বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে মোট এক কোটি ৬৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সাকিবকে নিরাপত্তা দেয়ার ব্যাপারে ফারুক আহমেদ বলেন, 'আমি কোনো এজেন্সি না, পুলিশ বা র‍্যাবও না। সরকারের তরফ থেকে নিরাপত্তার বিষয়টা আসতে হবে। এই মুহূর্তে বোর্ড থেকে এ সম্পর্কে কিছু বলা সম্ভব না। বোর্ড ব্যক্তিগতভাবে কাউকে নিরাপত্তা দিতে পারবে না আসলে। সাকিব যদি এখান থেকে শেষ টেস্ট খেলতে পারে, ওর মতো আমিও বিশ্বাস করি এর থেকে ভালো কিছু হতে পারে না।'

'সাকিব এ মুহূর্তে তার জীবনের খুব বাজে সময় পার করছে। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করিনি। সে মনে করেছে অবসর নেওয়ার এটাই সঠিক সময়। আমি তার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই। আমার দিক থেকে ওর জন্য খুব বেশি কিছু বলার নেই।'

আজ দুপুরে ভারত থেকে কানপুর টেস্ট উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হওয়া সংবাদ সম্মেলনে এসে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেন সাকিব। এরপর সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ম্যাচ শেষে অবসর নেয়ার কথা জানান তিনি। নামের পাশে বিভিন্ন ধরনের মামলা থাকায় বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে বিসিবির কাছে নিজের মনোভাব প্রকাশ করেন তিনি।

সাকিব বলেন, 'যদি সুযোগ থাকে, আমি যদি দেশে যাই, খেলতে পারি, তাহলে মিরপুর টেস্ট হবে আমার জন্য শেষ। সেই কথাটা বোর্ডের সবার সঙ্গে বলা হয়েছে। তাঁরা চেষ্টা করছেন কীভাবে সুন্দরভাবে আয়োজন করা যায়। এভাবেই ফারুক ভাইয়ের সঙ্গে ও নির্বাচকদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। যদি সুযোগ থাকে, আমি যদি দেশে যাই, খেলতে পারি, তাহলে মিরপুর টেস্ট হবে আমার জন্য শেষ। সেই কথাটা বোর্ডের সবার সঙ্গে বলা হয়েছে। তাঁরা চেষ্টা করছেন কীভাবে সুন্দরভাবে আয়োজন করা যায়।'

'আমি যেন গিয়ে খেলতে পারি এবং নিরাপদ অনুভব করি। যখন দেশের বাইরে আসার দরকার হবে, দেশের বাইরে আসতেও যেন আমার কোনো সমস্যা না হয়। বোর্ড খেয়াল করছে। বিষয়গুলোর সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁরা দেখছেন। তাঁরা হয়তো আমাকে একটা সিদ্ধান্ত দেবেন, যেটার ভিত্তিতে আমি দেশে গিয়ে খুব ভালোভাবে খেলে অন্তত টেস্ট ফরম্যাটটা ছাড়তে পারব।'