টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

ক্যাচটি নেয়ার সময় দড়ি স্পর্শ করিনি: সূর্যকুমার

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 17:44 মঙ্গলবার, 02 জুলাই, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সাউথ আফ্রিকা বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে অসাধারণ এক ক্যাচ নেন সূর্যকুমার যাদব। শেষ ওভারে নেয়া সেই ক্যাচটিই বিশ্বকাপ জিতিয়েছে ভারতকে। যদিও সেই ক্যাচটি নিয়ে আছে বিতর্ক। সূর্যকুমার যাদবের পা দড়ি ছুঁয়েছে কিনা সেটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আলোচনা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। যদিও সূর্যকুমারের দাবি, দড়ির সঙ্গে তার পা স্পর্শ করেনি।

হার্দিক পান্ডিয়ার করা ম্যাচের শেষ ওভারের প্রথম বলে ওয়াইড ফুল টস বলকে লং অফ দিয়ে উড়িয়ে মারেন মিলার। যা লুফে নেন সূর্যকুমার। এই ক্যাচেই বিপদজনক ডেভিভ মিলারের উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। যার কারণে শেষ ওভারে ১৬ রানের সমীকরণ মেলানো হয়নি তাদের।
টিভি রিপ্লে দেখেই আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবোরো আউটটি দিয়েছিলেন। যদিও তাতে বিতর্ক চলছেই। তারপর ৫ বল থেকে মাত্র ৮ রান করতে পারে সাউথ আফ্রিকা। সবকিছু অনেক কিছু দ্রুত ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সূ্‌র্যকুমার।

তিনি বলেন, 'রোহিত ভাই সাধারণত কখনই লং-অনে দাঁড়ান না কিন্তু সেই মুহূর্তে তিনি সেখানে ছিলেন। তাই যখন বল আসছিল, এক সেকেন্ডের জন্য আমি তার দিকে তাকালাম এবং সে আমার দিকে তাকাল।'

'আমি দৌড়ে গিয়েছিলাম এবং আমার লক্ষ্য ছিল বলটি তালুবন্দী করা। সে (রোহিত) কাছাকাছি ছিল, আমি তার দিকে বল ছুঁড়ে দিতাম কিন্তু সবকিছু চার থেকে পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যে ঘটেছিল, যা আমি বোঝাতে পারব না।'

প্রাথমিকভাবে ভিডিও রিপ্লেতে সূর্যকুমারের ক্যাচটি পরিষ্কারভাবেই দেখা যায়। তবে বিপত্তি বাঁধিয়েছে অনলাইনের বিভিন্ন ফুটেজ। ধারণা করা হচ্ছে তিনি বাউন্ডারির দড়ি স্পর্শ করেছেন। যদিও সূর্যকুমার এসবের সঙ্গে একমত নন।

তিনি বলেন, 'এই ক্যাচের জন্য আমি প্রচুর পরিমাণ রিয়েকশন পাচ্ছি, মানুষ ফোন করছে, মেসেজ করছে। আমার ফোনে এক হাজারেরও বেশি না পড়া হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা রয়েছে৷ সেই ক্যাচ পুরো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরছে। আমি কৃতজ্ঞ যে আমি সেই পাঁচ সেকেন্ডের খেলায় ছিলাম।'

'যখন আমি বলটি ঠেলে দিয়ে ক্যাচটি নিলাম, আমি জানতাম যে আমি দড়ি স্পর্শ করিনি। আমি সতর্ক ছিলাম যাতে যখন আমি যখন বলটিকে ভিতরে ঠেলে দিই, তখন আমার পা দড়িতে যেন স্পর্শ না করে। আমি জানতাম এটা পরিস্কার ক্যাচ ছিল। যদি বল ছক্কায় হয়ে যেত, তাহলে সমীকরণ হতো ৫ বলে দশ রানের। আমরা হয়ত জিততে পারতাম তবে ব্যবধান আরো কাছাকাছি হতো।'