|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আফগানিস্তানের ছুঁড়ে দেয়া লক্ষ্য ১২.১ ওভারের মধ্যে অতিক্রম করতে পারলেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলত বাংলাদেশ। সেটা না পারায় নাজমুল হোসেন শান্তর দলের প্রতি হতাশা প্রকাশ করেছেন তামিম ইকবাল। লিটন দাস ছাড়া দলের বাকি ব্যাটারদের প্রচেষ্টা পছন্দ হয়নি তার।
বাংলাদেশের সাবেক ওয়ানডে অধিনায়কের মতে, সেমিফাইনালে ওঠার চেষ্টা করা উচিত ছিল বাংলাদেশের। সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ হারার পরও এমন সুযোগ হেলায় হারানোয় আফসোস করছেন তামিম।
ক্রিকইনফোতে তামিম বলেন, ‘আসলে কাজটা কঠিন, আমি কারও দিকে আঙুল তুলব না। দল হিসেবে বাংলাদেশ শুরুতে ভালো করেছিল। সুপার এইটে অত ভালো না করলেও আজ সুযোগ ছিল সেমিফাইনালে যাওয়ার। যদি তারা হেরেও যেত ৩০ রানে বা ৪০ রানে, যদি রান তাড়ার চেষ্টাটাও করত তাহলে সমর্থকরা বুঝত যে সুযোগ ছিল আমরা চেষ্টা করেছি, পারিনি সমস্যা নেই।'
'আমি কিছুটা অবাক হয়েছি যে, এক পর্যায়ে মনে হয়েছে যে তারা রানটা তাড়া করতে না চেয়ে ভেবেছে শুধু জেতার চেষ্টা করে দেখি। যা আমার পছন্দ হয়নি। আমি মনে করি, চেষ্টাটা করে দেখো না। হারলে তো হেরে গেলোই, কিন্তু জিততে পারলে এমন কিছু অর্জন করা যাবে যা ইতিহাসে আগে হয়নি।'
শেষপর্যন্ত ম্যাচটি আট রানে হারে বাংলাদেশ। বৃষ্টি আইনে তাদের নতুন লক্ষ্য ১৯ ওভারে ১১৪ রানও স্পর্শ করেনি তারা। ১৭.৫ ওভারে ১০৫ রানে অল আউট হয় শান্তবাহিনী। একদিকে ৪৯ বলে ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন লিটন। এ ছাড়া বাকিরা ছিলেন পরিষ্কারভাবে ব্যর্থ।
তামিম আরও বলেন, 'বাংলাদেশ পরিষ্কার ধারণা নিয়ে ব্যাট করতে নামে। লিটন (দাস) ভালো করেছে। সে সাধারণত আফগানিস্তানের সাথে ভালো করে কারণ সে রশিদকে (খান) ভালোভাবে পড়তে পারে। তার ভালো রেকর্ড আছে। আমার মনে হয় বাংলাদেশ অনেক হতাশ হয়েছে। বাংলাদেশের উচিত ছিল রান তাড়া করার চেষ্টা করা (সেমিতে যেতে)। যদি তারা ৭০-৮০ রানেও অলআউট হত তাহলেও ম্যাচ হারতই।'
'তাদের সুযোগ ছিল বিশেষ কিছু করার। এসব সুযোগ বারবার আসে না। যখন আপনি সুপার এইটে কোনো ম্যাচ জেতেননি এবং পরে সুযোগ পেয়েছেন শেষ ম্যাচে জিতে সেমিফাইনাল খেলতে। এখানে হয়ত সম্ভাব্য সবকিছুই করার চেষ্টা করবেন আপনি। মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ তাড়া করে ফেলবে। মাঝে কিছু ওভারে ব্যাটিংয়ে কম ইন্টেন্ট কাজটা কঠিন করে দিয়েছে।'