|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আজম খানের হাফ সেঞ্চুরির পরও ফ্যাবিয়ান অ্যালেন ও নিকোলসন গর্ডনের দারুণ বোলিংয়ে বার্বাডোস রয়্যালসকে নাগালের মাঝেই রাখে জ্যামাইকা তালাওয়াশ। ১৬২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্রেন্ডন কিংয়ের হাফ সেঞ্চুরি এবং শামার ব্রুকসের দুর্দান্ত ইনিংসে ৮ উইকেটের বড় জয় পায় রভম্যান পাওয়েলের দল। এই জয়ে তৃতীয়বারের মতো সিপিএলের শিরোপা ঘরে তুললো জ্যামাইকা।
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৬২ লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই কেনার লুইসকে হারায় জ্যামাইকা। ইনিংসের চতুর্থ বলে কাইল মেয়ার্সের দুর্দান্ত ইয়র্কারে পরাস্ত হয়ে বোল্ড হন লুইস। ডানহাতি এই ব্যাটার এদিন আউট হয়েছেন শূন্য রানে।
তিনে নেমে কিংয়ের সঙ্গে জুটি গড়ে তোলেন ব্রকস। পাওয়ার প্লেতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৪৩ রান। ইনিংসের ১১তম ওভারে এসে নিজেদের দ্বিতীয় উইকেট হারায় জ্যামাইকা। জেসন হোল্ডারের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ৪৭ রানে ফেরেন ব্রুকস। ইনিংসটি খেলতে ৬টি চার এবং দুটি ছক্কা মেরেছেন তিনি।
ব্রুকস ফেরার পর হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন কিং। ৯ চারে মাত্র ৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এরপর অধিনায়ক পাওয়েলকে সঙ্গে নিয়ে জ্যামাইকার জয় নিশ্চিত করেন কিং। ৫০ বলে ৮৩ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তাকে সঙ্গ দেয়া পাওয়েল অপরাজিত ছিলেন ১৪ রানে।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে দারুণ শুরু করেছিল বার্বাডোস। ১২.৩ ওভারে দলের একশ রান পূরণ হলেও পরবর্তীতে দ্রুত গতিতে রান তুলতে পারেনি তারা। রাকিম কর্নওয়াল ৩৬, মেয়ার্স ২৯ এবং আজম ৫১ রান করে ফিরলে ২০ ওভারে ১৬১ রানের পুঁজি পায় বার্বাডোস। জ্যামাইকার হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন ফ্যাবিয়েন অ্যালেন ও নিকোলসন।