|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডেই সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার সুযোগ ছিল এনামুল হক বিজয়ের হাতে। তবে বরিশালের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৫ রানের আক্ষেপে পুড়তে হয়েছিল তাকে। তৃতীয় রাউন্ডে অবশ্য সেই আক্ষেপ ঘুচিয়েছেন ডানহাতি এই ওপেনার। ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে পেয়েছেন এবারের মৌসুমে নিজের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা। আরেক ওপেনার অমিত মজুমদারও বিজয়ের পথে হেঁটেছেন, খেলেছেন ১৪৫ রানের ইনিংস। যদিও শেষ বিকেলে ব্যাটিং ধসে ৩২ রানে ৫ উইকেট হারায় তারা। তবে বিজয় ও অমিতের সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন শেষে ৬ উইকেটে ৩৫৮ রান করেছে খুলনা বিভাগ।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা খুলনার শুরুটা হয়েছে ভালোভাবেই। সৌম্য সরকার জাতীয় দলের হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ায় বিজয়ের সঙ্গে ওপেনিংয়ে দেখা গেছে অমিতকে। দিনের প্রথম এক ঘণ্টায় খুলনাকে কোন উইকেট হারাতে দেননি তারা দুজন। ইনিংসের ১৫তম ওভারের প্রথম বলেই অফ ড্রাইভে চার মেরে দলের রান পঞ্চাশ করেছেন অমিত। সকালের শুরু থেকে অমিতের চেয়ে বেশি সময় উইকেটে কাটিয়েছেন বিজয়। হাফ সেঞ্চুরিও তাই তিনিই পেয়েছেন আগে।
আনিসুল ইসলাম ইমনের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে সিঙ্গেল নিয়ে ৮১ বলে এবারের মৌসুমে নিজের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। বিজয়ের হাফ সেঞ্চুরির পর ২৪.৪ ওভারে খুলনার রান একশ ছুঁয়েছে। হয়েছে বিজয় ও অমিতের জুটির সেঞ্চুরিও। দিনের প্রথম সেশনে ২৮ ওভার ব্যাটিং করে খুলনাকে বিনা উইকেটে ১১১ রান এনে দিয়েছেন দুই ওপেনার। লাঞ্চ থেকে ফিরেই হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন অমিত। বাঁহাতি ব্যাটারকে পঞ্চাশ ছুঁতে খেলতে হয়েছে ৮৪ বল। একটু পরই দেড়শ ছুঁয়ে ফেলে খুলনা।
আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ বিজয় ঘুচিয়েছেন ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে। রাকিবুল হাসানের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে ডাউন দ্য উইকেটে এসে লং অন ও মিড উইকেটের মাঝ দিয়ে ছক্কা মেরে ১২৭ বলে সেঞ্চুরি করেছেন। দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা বিজয়কে ফিরিয়ে ঢাকা মেট্রোকে প্রথম উইকেট এনে দেন আশরাফুল ইসলাম সিয়াম। তরুণ অফ স্পিনারের বলে শামসুর রহমান শুভর হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১৬৯ বলে ১২৫ রানের ইনিংস খেলা বিজয়। ডানহাতি ওপেনারের বিদায়ে ভাঙে অমিতের সঙ্গে ২৩০ রানের উদ্বোধনী জুটি।
বিজয় ফেরার পর অমিতকে সঙ্গ দিতে থাকেন ইমরুল কায়েস। এক উইকেটে ২৫৩ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় খুলনা। ৯১ রানের ইনিংস খেলে সেঞ্চুরির অপেক্ষায় ছিলেন অমিত। ফিরেই ১৭৭ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তাদের দুজনের ৯৬ রানের জুটি ভাঙে ইমরুলের বিদায়ে। শামসুরের লেগ স্টাম্পে করা ডেলিভারিতে লেগ সাইডে পুশ করে এক রান নিতে গিয়ে রাকিবুলের থ্রোতে রান আউট হয়েছেন তিনি। যদিও রিপ্লেতে দেখা যায় বল স্টাম্পে আঘাত হানার আগেই ক্রিজে প্রবেশ করেছিলেন ইমরুল।
আম্পায়ারের এমন সিদ্ধান্তে অবাক হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত অনফিল্ড আম্পায়ার নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে আগ্রহী না হওয়ায় ৪৬ রানের ইনিংস খেলে ফিরে যেতে হয় অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারকে। শেষ বিকেলে অবশ্য বেশ কয়েকটি উইকেট হারায় খুলনা। দ্রুতই ফিরে গেছেন মোহাম্মদ মিঠুন, কাজী নুরুল হাসান সোহান ও জিয়াউর রহমান। দেড়শর অপেক্ষায় থাকা অমিত আউট হয়েছেন ১৪৫ রানের ইনিংস খেলে। মেট্রোর হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন শহিদুল ইসলাম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
খুলনা বিভাগ (প্রথম ইনিংস)- ৩৫৮/৬ (৮৭.১ ওভার) (বিজয় ১২৫, অমিত ১৪৫, ইমরুল ৪৬; শহিদুল ২/৪৯)