|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
উইকেটে ঘাসের ছোঁয়া নেই, স্পিনারদের জন্যও বলার মতো তেমন কিছুই ছিল না। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামের উইকেটে বোলারদের জন্য কাজটা তাই কঠিনই ছিল। টনি ডি জর্জি ও ট্রিস্টিয়ান স্টাবসের ঝলমলে দিনে যতটা সুযোগ আদায় করেছিলেন বোলাররা। সেটাও লুফে নিতে পারেননি মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তরুণ উইকেটকিপারের ভুলে আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। সুযোগ মিসের আক্ষেপ থাকলেও সাউথ আফ্রিকার ৩০৭ রানের বিপরীতে মাত্র দুই উইকেট তোলায় হতাশ নন ফিল সিমন্স।
চট্টগ্রামের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে পুরো দিনের গল্পটা লিখলেন ডি জর্জি ও স্টাবস। তাদের দুজনের ২০১ রানের জুটিতে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনটা নিজেদের করে নিয়েছে সাউথ আফ্রিকা। মাত্র দুই উইকেট হারানো সফরকারীরা ৩০৭ রানে দিন শেষ করেছে। শেষ বিকেলে ফেরার আগে ১০৬ রানের ইনিংস খেলেছেন স্টাবস। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া এই ব্যাটার অবশ্য ফিরতে পারতেন হাফ সেঞ্চুরির আগেই।
ব্যক্তিগত ২৫ রানে স্টাম্পিং হতে পারতেন স্টাবস। তাইজুল ইসলামের টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে সামনে এগিয়ে এসে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন তিনি। বলের লাইন মিস করলেও তাকে স্টাম্পিং করতে পারেননি অঙ্কন। সকালের শুরুতেও তরুণ উইকেটকিপারের ভুলে হতাশায় ডুবতে হয়েছে বাংলাদেশকে। হাসান মাহমুদের রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ডি জর্জির ব্যাটের ভেতরে কানায় লেগে বল চলে যায় উইকেটের পেছনে।
ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে চেষ্টা করলেও ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি অঙ্কন। ক্যাচ নিতে পারলে দিন শেষে ১৪১ রানে অপরাজিত থাকা ডি জর্জি ফিরতে পারতেন ব্যক্তিগত ৬ রানে। এই দুটি ছাড়াও আরও টুকটাক সুযোগ পেয়েছিলেন, তবে কাজে লাগাতে পারেননি একটিও। এমন সুযোগ লুফে নিতে না পারায় আক্ষেপ আছে সিমন্সের। তবে প্রথম দিনে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে একেবারেই হতাশ নন প্রধান কোচ।
এ প্রসঙ্গে সিমন্স বলেন, ‘এটা বলব না যে আমি হতাশ। এটা দারুণ ব্যাটিং উইকেট। আমার তো মনে হয় বোলাররা যথেষ্ট পরিশ্রম করেছে এবং ভালোই বল করেছে। কিছু সুযোগ হাতছাড়া না হলে ভিন্ন পরিস্থিতি হতে পারত। চার–পাঁচটি উইকেট পড়তে পারত। কঠিন দিন ছিল, কিন্তু আমরাও অনেক সময় অন্যদের কঠিন দিন দিয়েছি। কাজেই এটা বলা ঠিক হবে না যে আমি হতাশ।’
চট্টগ্রামের এমন ব্যাটিং উইকেটে পাঁচদিন শেষে ফলাফল আসবে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হতে পারে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বোলাররা সুবিধা না পেলেও কাজটা যে কঠিন হবে সেটা স্পষ্ট। মুলতানে ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের প্রথম টেস্টের উদাহরণ টেনে ফলাফলের আশা দেখানোর চেষ্টা করেছেন সিমন্স। তবে জয়ের পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারলে টেস্ট ড্র করার পথ বেছে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের প্রধান কোচ বলেন, ‘আমার মতে প্রথমত টেস্ট ম্যাচ জেতার জন্য খেলতে নামতে হবে। যদি জয়ের মতো অবস্থায় না যাওয়ায় যায়, তখন অবশ্যই ম্যাচটি বাঁচাতে হবে। এত সহজেই টেস্টে হাল ছেড়ে দেওয়া যায় না। এটিও ছিল ভাবনায়। তাই আমরা এমন সমন্বয়ে এগিয়েছি।’