বাংলাদেশ - সাউথ আফ্রিকা সিরিজ

জাকিরকে নিয়ে যোগাযোগের ঘাটতি দেখেন না সিমন্স

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
Publish Date: 20:53 Tuesday, October 29, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

চট্টগ্রাম টেস্টের স্কোয়াডে থাকলেও জাতীয় ক্রিকেট লিগের ম্যাচ খেলতে সিলেটে পাঠানো হয়েছিল জাকির হাসানকে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানিয়েছিলেন, দ্বিতীয় টেস্টে বাঁহাতি ওপেনারের খেলার খুব বেশি সুযোগ না থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সিলেট ও চট্টগ্রামের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচ আড়াই দিনে শেষ হয়ে যাওয়ায় সিলেট থেকে অবশ্য চট্টগ্রামে চলে গেছেন তিনি।

দলের সঙ্গে একদিন আগে যোগ দেয়ার আগে সিলেটের হয়ে যথাক্রমে ১৩ ও ৩৬ রান করেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। প্রধান নির্বাচক জাকিরের খেলার সম্ভাবনা না দেখলেও চট্টগ্রাম টেস্টে ঠিকেই জাকিরকে একাদশে রেখেছেন প্রধান কোচ কিংবা অধিনায়ক। এমন সিদ্ধান্তের পেছনের যোগাযোগের ঘাটতি দেখেন কিনা এমনটা জানতে চাওয়া হয়েছিল ফিল সিমন্সের কাছে।

বাংলাদেশের প্রধান কোচ অবশ্য এমন কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। বরং সিমন্স জানালেন, প্রথম টেস্টে জাকির না খেলায় ব্যাটিংয়ে সময় কাটাতেই জাতীয় ক্রিকেট লিগের ম্যাচ খেলতে পাঠানো হয় তাকে। লিটন দাস ও জাকের আলী অনিক ছিটকে যাওয়ায় জাকিরকে খেলাতে অনেকটা বাধ্য হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ।

এ প্রসঙ্গে সিমন্স বলেন, ‘যোগাযোগের কোনো ঘাটতি ছিল না। জাকিরের ফিরে আসার কথা ছিলই (জাতীয় লিগের ম্যাচ শেষে)। আমরা চেয়েছিলাম যেহেতু সে সবশেষ টেস্টে খেলেনি সে, এই ম্যাচে তাকে প্রয়োজন পড়লে আগে ব্যাটিংয়ে কিছুটা সময় কাটাক। এরপর কনকাশনের ঘটনা ঘটল, অসুস্থতার ব্যাপার হলো। দুজন ব্যাটার ছিটকে গেল। এখানে যোগাযোগের কোনো সমস্যা ছিল না।’

সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অভিষেক হয়েছে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের। তরুণ উইকেটকিপার ব্যাটার সবশেষ কয়েক বছর ধরেই ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করছেন। জাতীয় ক্রিকেট লিগের এবারের আসরের প্রথম রাউন্ডেও খেলেছেন ১১৮ রানের ইনিংস। অঙ্কনকে চট্টগ্রামে খেলার পেছনে যুক্তি হিসেবে লিটন ও জাকেরের ছিটকে যাওয়া সামনে এনেছেন। উইকেটকিপারের প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করেই অঙ্কনকে খেলানো হয়েছে বলে জানান সিমন্স।

বাংলাদেশের প্রধান কোচ বলেন, ‘সে দলে ঢুকেছে কারণ লিটন ভালো অনুভব করছিল না। এটা প্রথম কারণ। আমাদের একজন উইকেটকিপার লাগতই। (লিটনের জায়গায়) হয়তো জাকের কিপিং করতে পারত, কিন্তু তারও কানকাশন হয়ে গেল। এভাবে দলে আসা আদর্শ কিছু নয় অবশ্যই। মূল স্কোয়াডে থাকতে পারাই সবচেয়ে ভালো। তবে অনেক কিছুই হয়ে থাকে এবং সে সুযোগটা নিয়েছে।’