বাংলাদেশ-সাউথ আফ্রিকা সিরিজ

অনুপ্রেরণায় ইংল্যান্ডের ৮২৩, আশা হারাচ্ছেন না সিমন্স

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
Publish Date: 19:53 Tuesday, October 29, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

মিরপুর টেস্টে হেরে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। ফলে সিরিজ বাঁচাতে চট্টগ্রামে জয়ের বিকল্প নেই নাজমুল হোসেন শান্তর দলের সামনে। যদিও প্রথম দিনই ব্যাটিং তান্ডবে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিচ্ছে প্রোটিয়ারা। তারা দিন শেষ করেছে ২ উইকেটে ৩০৭ উইকেট নিয়ে।

এমন পরিস্থিতি থেকেও জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। তিনি এক্ষেত্রে মুলতান টেস্টে পাকিস্তানের করা ৫৫৬ রানের জবাবে ৮২৩ রান করেছিল ইংল্যান্ড সেই ম্যাচের উদাহরণ টেনেছেন টাইগার কোচ।

শেষ পর্যন্ত সেই ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছিল ইংলিশরা। সেই ম্যাচ থেকেই অনুপ্রেরণা নিচ্ছে বাংলাদেশ। আপাতত দ্বিতীয় দিনের শুরুতে প্রোটিয়াদের বাকি ৮ উইকেট তুলে নেয়ার লক্ষ্য বাংলাদেশের। এমনটাই জানিয়েছেন টাইগারদের প্রধান কোচ।

সিমন্স বলেছেন, 'এই মুহূর্তে আমাদের দলের আলোচনা হচ্ছে আগামীকাল সকালে এসেই দ্রুত উইকেট নেয়ার চেষ্টা করতে হবে এবং আমাদেরকে এমন একটা অবস্থায় নিয়ে যেতে হবে যাতে তাদের আমরা অল আউট করতে পারি। এরপর আমরা যখন ব্যাটিং করব...আমরা এরকম অনেক টেস্ট ম্যাচই দেখেছি, পাকিস্তানে টেস্টে দেখলাম এক দল ৫০০ রান করেছে এরপর অন্যরা ৮০০ রান করেছে, তবুও ফলাফল এসেছে।'

এখনও সুযোগ আছে ম্যাচ জেতার। এ প্রসঙ্গে সিমন্স বলেন, 'সুতরাং সবসময়ই ফলাফলের সুযোগ আছে। এখন আজ যা হয়েছে সেটা মেনে নিতে হবে তবে আগামীকাল সকালে আমরা কিভাবে এটা ভিন্নভাবে করতে পারি সেটার পথ খুঁজে বের করতে হবে। আমরা যদি কয়েকটা উইকেট নিয়ে নিজেদের ওই অবস্থান নিয়ে যেতে পারি কিনা। আপনি সবসময় চিন্তা করবেন কিভাবে আপনি টেস্ট ম্যাচ জিততে পারেন, তারপর অন্য কিছু।'

সাউথ আফ্রিকার বড় পুঁজিতেও হতাশ নন সিমন্স। তিনি মনে করেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা ক্যাচ ও স্টাম্পিং মিস না করলে বাংলাদেশ আরও ভালো অবস্থায় থাকত প্রথম দি  শেষে। উইকেটের সংখ্যাও ৪-৫টি থাকতে পারত। তবে বোলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে খুশি তিনি।

এই টাইগার কোচ বলেন, 'আমি হতাশ বলতে পারি না। যতদূর আমরা উদ্বিগ্ন এটা দারুণ একটি ব্যাটিং উইকেট ছিল। আমি মনে করি বোলাররা পরিশ্রম করেছে এবং ভালো বোলিং করেছে। কয়েকটি সুযোগ মিস করেছে। (ধরতে পারলে) ভিন্ন হতে পারতো, চার, পাঁচ (উইকেট) হতে পারতো। কিন্তু আপনি জানেন, এটা কঠিন একটি দিন। আমি যখন এখানে এসেছি তখন মুদ্রার অন্য পাশে কঠিন দিন দেখেছি। তাই, আমি হতাশ বলব না।'