|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
রিকি পন্টিং চলে গেলেও দিল্লি ক্যাপিটালসের বোলিং কোচ হিসেবে থাকার কথা ছিল জেমস হোপসের। তবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) নতুন মৌসুমের আগে দিল্লির চাকরি ছেড়েছেন তিনি। পন্টিংয়ের কোচিং প্যানেলে কাজ করতে পাঞ্জাব কিংসের পেস বোলিং কোচ হচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই অলরাউন্ডার।
২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম আসরে ক্রিকেটার হিসেবে খেলেছিলেন হোপস। পরবর্তীতে পন্টিংয়ের সঙ্গে দিল্লিতে বেশ কয়েক বছর কাজ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৮৪ ওয়ানড এবং ১২ টি-টোয়েন্টি খেলা এই ক্রিকেটার। দিল্লির পক্ষ থেকে চুক্তি নবায়নের প্রস্তাব দেয়া হলেও সেটাতে রাজি হননি তিনি। পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজি ছেড়ে পাঞ্জাবের সঙ্গে ৪ বছরের চুক্তি করেছেন এই পেস বোলিং কোচ।
হোপস যুক্ত হওয়ায় চাকরি হারাতে হচ্ছে শার্ল ল্যাঙ্গারভেল্টকে। ট্রেভর বেলিসের অধীনে আইপিএলের সবশেষ দুই মৌসুমে পাঞ্জাবের হয়ে কাজ করেছেন সাউথ আফ্রিকার সাবেক এই পেসার। ২০২০ সালেও পাঞ্জাবের হয়ে বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করেছিলেন ল্যাঙ্গারভেল্ট। সবশেষ কোচিং প্যানেল থেকে রেখে দেয়া হচ্ছে সহকারী কোচ ব্র্যাড হ্যাডিন ও সুনীল যোশীকে। পাঞ্জাবে আসার আগে সানরাইজার্স হায়দরাবাদে কাজ করেছেন হ্যাডিন।
চাকরি টিকে যাওয়ায় পাঞ্জাবের ব্যাটিং এবং উইকেটকিপিং কোচ হিসেবে কাজ করে যাবেন। ভারতের সাবেক স্পিনার ও সাবেক প্রধান কোচ সবশেষ কয়েক বছর ধরে পাঞ্জাবের হয়ে কাজ করছেন। এবারও থাকছেন তাদের ডেরাতে। এবারের মৌসুমের আগে হেড অব ক্রিকেট ডেভেলভমেন্ট হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সঞ্জয় বাঙ্গারকে। এ ছাড়া কোচিং স্টাফে থাকছেন আদ্রিয়ান লে রোক্স ও অ্যান্ড্রু লেইপাস।
কোচ হিসেবে পন্টিংয়ে প্রথম কাজ হবে পরবর্তী আসরের জন্য রিটেইন ক্রিকেটারের তালিকা করা। আগামী ৩১ অক্টোবর ধরে রাখা ও ছেড়ে দেয়া ক্রিকেটারদের তালিকা জমা দিতে হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। ধারণা করা হচ্ছে, রিটেইনশনের তালিকায় ১৮ কোটিতে রাখা হতে পারে বাঁহাতি পেসার আর্শদীপ সিংকে। আনক্যাপড ক্রিকেটার হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে শশাঙ্ক সিং ও আশুতোষ শর্মাকে।