|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সোনালী যুগ এখন অতীত জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে। এক সময়ের পরাক্রমশালী জিম্বাবুয়ে এখন বড় দলগুলোর বিপক্ষে সিরিজই খেলতে পারে না। আগে নিয়মিত বিশ্বকাপে খেলতে পারলেও সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি তারা।
অনেক বছর ধরেই বড় কোনো তারকা উঠে আসছে না দেশটির ক্রিকেটে। অবশ্য জিম্বাবুইয়ানদের ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা সেই আগের মতোই আছে। দেশটির অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র ভিক্টোরিয়া ফলসের কাছে দর্শনীয় এক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হচ্ছে।
যা ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট এমারসন মানানগাগওয়া। ধারণা করা হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম মনোরম স্টেডিয়াম হতে চলেছে এটি। স্টেডিয়ামটির নাম রাখা হচ্ছে ‘মোসি-ওয়া-টুনিয়া।’ স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা হবে ১০ হাজার দর্শকের।
এই মাঠেই ২০২৬ ও ২০২৭ সালে বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে জিম্বাবুয়ে। দেশটি আগামী বছর নামিবিয়ার সঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে। সেই সঙ্গে ২০২৭ বিশ্বকাপের সহ আয়োজকও জিম্বাবুয়ে। এই টুর্নামেন্টগুলোকে সামনে রেখেই মহাযজ্ঞ নিয়ে হাজির হচ্ছে জিম্বাবুয়ে।
এরই মধ্যে স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য ১০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করেছে জিম্বাবুয়ে সরকার। এই স্টেডিয়াম নির্মানের সম্পূর্ণ অর্থ দিচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ধারণা করা হচ্ছে এই স্টেডিয়াম নির্মানে ৫ থেকে ১০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
অবশ্য স্টেডিয়াম বাদে আর কিছুর জন্য অতিরিক্ত অর্থায়ন করবে না। ভিক্টোরিয়া ফলস স্টেডিয়ামটির মাল্টি-স্পোর্টস স্টেডিয়াম হিসেবে তৈরি করা হবে। সেখানে ক্রিকেটের বাইরেও রাগবি, হকি ও নেটবল খেলার সুযোগ সুবিধা থাকবে বলে জানা গেছে।