বাংলাদেশ ক্রিকেট

সেপ্টেম্বরে ড্রাফট, ২৭ ডিসেম্বর শুরু হতে পারে বিপিএল

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
Publish Date: 21:45 Thursday, August 29, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে কদিন আগে বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসর। আয়োজক স্বত্ব থাকলেও সংযুক্ত আরব আমিরাতে হবে নিগার সুলতানা জ্যোতিদের বিশ্বকাপ। এদিকে পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হওয়ার কথা ২০ ওভারের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের। নারী বিশ্বকাপ সরে যাওয়ার পর শঙ্কা জাগে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়েও।

বিশেষ করে বেশ কয়েকটি মালিকানায় থাকতে না চাওয়ার ঘটনায় সেটা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আগেই দুর্দান্ত ঢাকার মালিকানায় থাকা নিউটেক্স গ্রুপ নিজেদের সরিয়ে নেয়ার কথা জানায়। আগামী মৌসুমে থাকবে কিনা সেটার নিশ্চয়তা ছিল না চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, সিলেট স্ট্রাইকার্স কিংবা ফরচুন বরিশালের মতো দলগুলোর। বড় সমস্যা তৈরি হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে।

বিপিএলের সবচেয়ে সফলতম দলের মালিকানায় আছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের মেয়ে নাফিসা। সরকার পতনের পর বাবার সঙ্গে দেশ ছেড়েছেন তিনিও। ফলে আগামী মৌসুমে তাদের পাওয়া নিয়ে আছে শঙ্কা। নতুন বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নেয়া ফারুক আহমেদও জানিয়েছেন, দুই-তিনটি দল এখনও নিজেদের থাকার নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। তারা না আসলে নতুন দলের মাধ্যমে ৭ দলের বিপিএল আয়োজন করতে চায় বিসিবি।

বৃহস্পতিবার(২৯ আগষ্ট) বোর্ড সভা শেষে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি জানান, আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টের ড্রাফট। প্রথম সপ্তাহে প্লেয়ার্স ড্রাফট হওয়ার কথা থাকলেও আপাতত সেটিকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে মাসের শেষদিকে। এ ছাড়া ফারুক নিশ্চিত করেছেন, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নয় বরং বিপিএলের পর্দা উঠতে পারে চলতি বছরের ২৭ ডিসেম্বর।

এ প্রসঙ্গে ফারুক বলেন, ‘বিপিএলে নিয়ে কথা বলছি আমরা। আজকের বোর্ড সভার পরে আমিও আত্মবিশ্বাসী। যথা সময়ে আমরা বিপিএল আয়োজন করতে পারব। ২৭ ডিসেম্বর প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়ানোর কথা। তার আগে আমাদের ড্রাফট সেপ্টেম্বরে করে ফেলার চেষ্টা করব। দুই-একটা দল হয়ত আসতে চাইবে না এটা সিইও’র সাথে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সে করবে কি করবে না এটা নির্দিষ্ট করে জানায়নি। কিন্তু ধারণা করছি তারা নাও করতে পারে সেক্ষেত্রে সেসব দলের জন্য আমাদের খুঁজতে হবে (মালিকানা)।’

‘আমাদের সাতটা দল ছিল জানেন। আমরা আগে ঠিক করব কোন সাতটা দল। আমি বলেছি ব্যক্তিগতভাবে দলের মালিকদের সাক্ষাৎকার করব। আমরা কিছু ভালো মানুষ দেখতে চাই যারা শুধু মাত্র করার জন্য করা না। অনেক সময় দল থাকে না তখন মনে হয় এবার করে নিই পরের বছর থেকে ভালো করে করব। কিন্তু বিপিএলটা আমরা করব। এটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ, আশা করি করব ইনশাআল্লাহ।’

বিপিএলের সবশেষ কয়েকটি আসরে ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ঢাকার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে এবং সিলেট ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামকে। আইপিএল, বিগ ব্যাশের মতো টুর্নামেন্টগুলো হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে হলেও বিপিএলে এমন কিছু দেখা যায় না। বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে এমন কিছু করা সম্ভব কিনা এমনটা জানতে চাওয়া হয়েছিল বিসিবি সভাপতির কাছে।

এমন প্রশ্নের উত্তরে সমস্যার কথা তুলে ধরে ফারুক বলেন, ‘এখনও হোম অ্যান্ডে অ্যাওয়ের জন্য আমরা প্রস্তুত না। আপনি যদি ভেবে দেখেন তাহলে দেখবেন অনেক দলের তো ঘরের মাঠই নেই। চট্টগ্রাম, খুলনা, ঢাকা, সিলেটের আছে। দুই-তিনটা দলের ঘরের মাঠের নাই। হোটেলও একটা ইস্যু।’