|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ঘরের মাঠে হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেছিল ভারত। গ্রুপ পর্ব থেকে সেমিফাইনাল, সবখানেই অপরাজিত ছিল রোহিত শর্মার দল। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম সেদিন তাই পরিণত হয়েছিল জন (নীল) সমুদ্রে। ২০১৩ সালের পর শিরোপা জিততে না পারা ভারতের সামনে সুযোগ ছিল খরা কাটানোর। কিন্তু ট্রাভিস হেডের ওমন সেঞ্চুরিতে আরও এক স্বপ্ন ভঙ্গ হয় ভারতের। প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার নীল জার্সি পড়া সমর্থককে চুপ করিয়ে দিয়ে ষষ্ঠবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া।
মাস ছয়েকের ব্যবধানে আরও একবার আইসিসির টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভারত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে রোহিতদের প্রতিপক্ষ অপ্রতিরোধ্য সাউথ আফ্রিকা। যদিও অপরাজেয় থেকে ফাইনালে এসে ভারতও। সৌরভ গাঙ্গুলির বিশ্বাস, প্রোটিয়াদের হারিয়ে শিরোপা খরা কাটাবে ভারত। তবে ছয় মাসের ব্যবধানে রোহিত যদি আরও একটা ফাইনাল হেরে যান তাহলে বার্বাডোসের সাগরে ঝাঁপ দিতে পারেন বলে ধারণা তার।
ভারতের বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সৌরভ বলেন, ‘আমার মনে হয় না সে (রোহিত শর্মা) সাত (ছয়) মাসের ব্যবধানে দুটি বিশ্বকাপ ফাইনাল হারতে পারে। সে যদি সাত মাসের ব্যবধানে দুটো ফাইনাল হারে তাহলে সে সম্ভবত বার্বাডোসের সাগরে ঝাঁপ দেবে। সে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে, দারুণ ব্যাটিং করেছে এবং আমি আশা করি কালও এটা অব্যাহত থাকবে। আশা করছি ভারত সেরা দল হিসেবেই শেষ করবে এবং তাদের স্বাধীনভাবে খেলা উচিত।’
বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আরও যোগ করেন, ‘তারা এই টুর্নামেন্ট সেরা দল। আমার পক্ষ থেকে তাদের জন্য শুভ কামনা থাকছে। দোয়া করি তারা জিতুক। আশা করি কাল ভাগ্যও কিছুটা তাদের পক্ষে থাকবে। কারণ বড় টুর্নামেন্ট জিততে গেলে ভাগ্যের সহায়তাও লাগে।’
ভারতকে ২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে তুললেও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সবশেষ মৌসুমের আগে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের নেতৃত্ব হারিয়েছিলেন রোহিত। পাঁচবারের শিরোপাজয়ী অধিনায়ককে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল হার্দিক পান্ডিয়াকে। গুজরাট টাইটান্সে ভালো করলেও মুম্বাইয়ে এসে সফলতা পাননি ভারতের এই অলরাউন্ডার। ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতেও ভারতে ফাইনালে তোলার পরও রোহিতের সেই সময়ের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন সৌরভ।
তিনি বলেন, ‘রোহিত শর্মার জন্য আমি খুবই খুশি। জীবন অনেকটা বৃত্তের মতো। ছয় মাস আগেও সে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক ছিল না এবং সেই একই মানুষ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে নেতৃত্বে দিচ্ছে। তার দল এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে অপরাজেয়।’