|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
রবীন্দ্র জাদেজা, যুবেন্দ্র চাহাল ও কুলদীপ যাদবের সঙ্গে ভারতের স্পিন বিভাগে আছেন অক্ষর প্যাটেলও। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে স্পিনারদের এমন আধিক্যতা দেখে সংবাদ সম্মেলনে রোহিত শর্মার কাছে প্রশ্নটাই এসেছিল অনুমেয়ভাবেই। ভারতের অধিনায়ক তখন জানিয়েছিলেন, নিজের চাওয়াতেই নাকি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপে স্কোয়াডে চার স্পিনার নিয়েছিলেন।
কারণ জানতে চাইলেও সেই সময় অবশ্য বলেন রোহিত। প্রতিপক্ষের অধিনায়কেরা শুনে যাবেন এমন ভয় থেকেই তখন নিজেদের কৌশল খোলাসা করেননি ভারতের অধিনায়ক। তবে ঠিক কি কারণে স্কোয়াডে এত বেশি স্পিনার নেয়া হয়েছে সেটা পরিস্কার হয়েছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনাল দেখে। একমাত্র দল হিসেবে ভারতই কেবল জানতো সেরা চারের ম্যাচটা তাদের কোথায় খেলতে হবে।
কাগজে-কলমে ভারত যে মাপের দল তাতে তারা সেমিফাইনাল খেলবে এটা প্রায় অনুমেয়ই। তাদের কথা বিবেচনা করেই গায়ানার প্রভিডেন্সে রাখা হয় সেরা চারের ম্যাচ। ঐতিহ্যগতভাবেই সেখানকার উইকেটে বাউন্স একটু কম এবং স্পিনারদের জন্য স্বর্গ। যার প্রমাণ মিলেছে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং দেখে। ধীরগতির ও অসম বাউন্সের উইকেটে ইংলিশদের ধসিয়ে দিয়েছেন অক্ষর ও কুলদীপ।
দুই স্পিনার মিলে নিয়েছেন ইংল্যান্ডের ৬ উইকেট। দুজনে ৮ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৪২ রান। যার ফলে জস বাটলারদের হারিয়ে আরও একবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ভারত। বাটলার তাদের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করলেও সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের দাবি, বাড়তি সুবিধা পেয়েছে ভারত। অধিনায়ক রোহিতকে সেটা মানতেও বলছেন জনপ্রিয় এই ধারাভাষ্যকার।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোর সঙ্গে আলাপকালে, ‘পরিষ্কার সুবিধা দেওয়া হয়েছে। রোহিতকে এটা মানতেই হবে। সে বলতে পারবে না যে এটা তাদের কাজটা সুবিধা করে দিচ্ছে না। ভারত নিশ্চয়ই তাদের দল সাজিয়েছে এটা মাথায় রেখে।’
গায়ানায় খেলা দেয়া নিয়ে তিনি আরও যোগ করেন, ‘সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ভারতের সমস্যা ছিল। যখন আপনি জানবেন আপনার খেলা গায়ানায়, তখন আপনি চার স্পিনার দলে রাখবেন। এটাই হবে একটা কারণ।’