|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সুপার এইটে জায়গা করে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হয়েছিল ইংল্যান্ডকে। অন্যদিকে ৪ ম্যাচ জিতে পরের পর্বে নাম লিখিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সুপার এইটে ভিন্ন এক ইংল্যান্ডকে দেখা গেছে। তারা ক্যারিবীয়দের ৮ উইকেটে হারিয়ে সুপার এইট মিশন শুরু করেছে।
এই ম্যাচে আগে ব্যাট করে ১৮০ রান সংগ্রহ করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই লক্ষ্য ১৫ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে গেছে ইংলিশরা। বড় রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে ফিল সল্টকে নিয়ে ৫৮ রান যোগ করেন অধিনায়ক জস বাটলার।
তাদের ওপেনিং জুটি থেকে আসে ৬৭ রান। অফ স্পিনার রোস্টন চেজের বলে বাটলার সামনে এসে খেলতে গিয়ে এলবিডব্লু হয়ে আউট হলে এই জুটি ভাঙে। বাটলারের ব্যাট থেকে এসেছে ২২ বলে ২৫ রান। এরপর দ্রুত আউট হয়ে গেছেন মঈন আলী।
তিনি ১০ বলে ১৩ রান করে আন্দ্রে রাসেলের বলে পুল করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে জনসন চার্লসকে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন। এরপর ইংল্যান্ডকে আর কোনো উইকেট হারাতে দেননি সল্ট ও জনি বেয়ারস্টো। দুজনে ৯৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ইংল্যান্ডকে জয় এনে দিয়েছেন।
সল্ট ৫টি ছক্কা ও ৭টি চারে ৪৭ বলে ৮৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন আ৪ ২৬ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন বেয়ারস্টো। এর আগে এই ম্যাচে টসে জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় ইংল্যান্ড। অবশ্য বল হাতে নেমে শুরুতে সুবিধা করতে পারেননি ইংলিশ বোলাররা।
ওপেনিং জুটিতে ৪০ রান তোলেন ব্র্যান্ডন কিং ও চার্লস। কিংস ১৩ বলে ২৩ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন। দ্বিতীয় উইকেটে নিকোলাস পুরানকে নিয়ে আরেকটি বড় জুটি গড়েন চার্লস। তিনি ফিরেছেন ৩৪ বলে ৩৮ রান করে। আর পুরান আউট হয়েছেন ৩২ বলে ৩৬ রান করে। এরপর রভমান পাওয়েল ১৭ বলে ৩৬ রানের ক্যামিও খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান এগিয়ে নেন।
অবশ্য আন্দ্রে রাসেল আউট হয়েছেন মাত্র ১ রান করে। শেষদিকে শেরফানে রাদারফোর্ড ১৫ বলে ২৮ ও রোমারিও শেফার্ড ৭ বলে ৫ রান করে অপরাজিত থেকে ক্যারিবীয়দের লড়াইয়ের পুঁজি নিশ্চিত করেন। ইংলিশ বোলারদের মধ্যে একটি করে উইকেট পেয়েছেন জোফরা আর্চার, আদিল রশিদ, মঈন আলী ও লিয়াম লিভিংস্টোন।