|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আইপিএলে খুবই অপরিচিত নাম শশাঙ্ক সিং। এর আগে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলেছিলেন শশাঙ্ক। তবে প্রায় সব ম্যাচেই ব্যর্থ হয়েছিলে। ফলে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি আর তাকে রিটেইন করেনি। এরপর এক আসরে ছিলেন আনসোল্ড। আইপিএল ক্যারিয়ারে ১০ ম্যাচে ৬৯ রানের বেশি করতে পারেননি। এবার আইপিএলে প্রথম তিন ম্যাচে সর্বোচ্চ রান ছিল ২১ রানের।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৮ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থেকে নিজের ব্যাটিং ঝলক দেখিয়েছেন এই ৩২ বছর বয়সী ব্যাটার। গুজরাটের বিপক্ষে প্রায় একা হাতেই ম্যাচ জিতিয়ে নায়ক হয়েছেন তিনি। গুঞ্জন ছিল ভুল করে বয়স্ক এই ক্রিকেটারকে দলে নিয়েছে পাঞ্জাব। তাদের লক্ষ্য ছিল আনক্যাপড আরেক শশাঙ্ক সিং। অবশ্য পাঞ্জাব সেই কথা উড়িয়ে দিয়েছিল।
গুজরাটের বিপক্ষে শশাঙ্ক নিজেকে প্রমাণ করেছেন। ভুল করে নয়, ম্যাচ জেতানোর জনই যেন তাকে নিয়েছে পাঞ্জাব। এই ম্যাচে গুজরাটের দেয়া বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু পায়নি পাঞ্জাব। দলীয় ১৩ রানেই অধিনায়ক শিখর ধাওয়ানের উইকেট হারায় তারা। মাত্র ১ রান করে উমেশ যাদবের বলে বোল্ড হন তিনি। এরপর বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি জনি বেয়ারস্টোও।
তিনি আউট হন ২২ রান করে। ভালো শুরু পেয়েছিলেন প্রাভ সিমরান সিং। তবে তিনিও ইনিংস বড় করতে পারেননি। আউট হয়েছেন ৩৫ রান করে। স্যাম কারান ৫, সিকান্দার রাজা ১৫ রান করে আউট হয়ে গেলে হারের শঙ্কায় পড়ে দলটি।
যদিও শশাঙ্ক সিংয়ের অপরাজিত ২৯ বলে ৬১ রানে দারুণ জয় পায় পাঞ্জাব। ১৬ রান করে জিতেশ শর্মা ও ১৭ বলে ৩১ রান করে আশুতোষ শর্মা তাকে দারুণ সঙ্গ দেন। আর তাতেই ১ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাঞ্জাব। ১ রান করে অপরাজিত ছিলেন হারপ্রীত ব্রার।
এই ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু পায়নি গুজরাট। দলীয় ২৯ রানেই তারা হারায় ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহার উইকেট। কাগিসো রাবাদার বলে ফ্লিক করতে গিয়ে মিড অফে শিখর ধাওয়ানকে ক্যাচ দেন। এরপর কেন উইলিয়ামসনকে নিয়ে গুজরাটের ইনিংস টানেন শুভমান গিল।
এই দুজনে মিলে যোগ করেন ৪০ রান। উইলিয়ামসনকে বেশিদূর এগোতে দেননি হারপ্রীত ব্রার। এই পেসারের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দেন ২৬ রান করা উইলিয়ামসন। এরপর সাই সুদর্শন দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন গিলকে।
তৃতীয় উইকেটে তারা যোগ করেন আরও ৫৩ রান। সুদর্শন ১৯ বলে ৩৩ রানের ক্যামিও খেলেছেন। হার্শাল প্যাটেলের স্লোয়ার বলে ক্যাচ দেন জিতেশ শর্মাকে। এরপর বিজয় শঙ্করকে নিয়ে আরও ৪২ রান যোগ করেন গিল। অবশ্য এই জুটিতে শঙ্করের অবদান ছিল মাত্র ৮ রান।
এই ব্যাটার ফিরে গেলে রাহুল তেওয়ারিয়াকে নিয়ে গুজরাটকে বড় লক্ষ্যে পৌঁছে দেন গিল। তাওয়াতিয়া মাত্র ৮ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। আর গিল ৪টি ছক্কা আর ৬টি চারে ৪৮ বলে ৮৯ রান করে অপরাজিত থাকেন শেষ পর্যন্ত।