|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
নক আউটে ৫৭ বলে ১৪০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে ব্রিসবেন হিটকে ফাইনালে তুলেছিলেন জশ ব্রাউন। অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ফাইনালেও খেললেন ৫৩ রানের ইনিংস। ব্রাউনের সঙ্গে ম্যাট রেনশ ৪০, নাথান ম্যাক্সউইনি করেছেন ৩৩ রান। তাতেই ১৬৬ রানের পুঁজি পায় ব্রিসবেন। শিরোপা জেতাতে বল হাতে বাকি কাজটা সেরেছেন স্পেন্সার জনসন। বাঁহাতি এই পেসার, হাভিয়ের ব্রাটলেট এবং মিচেল সোয়েপসনের দারুণ বোলিংয়ে অ্যাডিলেড অল আউট হয়েছে মাত্র ১১২ রানে। ফাইনালে অ্যাডিলেডকে ৫৪ রানে হারিয়ে ১১ বছর পর বিগ ব্যাশের শিরোপা জিতল ব্রিসবেন। সবশেষ ২০১২-১৩ মৌসুমে বিগ ব্যাশের ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল তারা।
ঘরের মাঠে রান তাড়ায় শুরুতেই বিপাকে পড়ে সিডনি। ইনিংসের তৃতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন ড্যানিয়েল হিউজ। মাইকেল নেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে কভারে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে এজ হয়ে বল চলে যায় স্লিপে থাকা রেনশর হাতে। হিউজকে ফিরতে হয় ১ রান করে। আরেক ওপেনার জ্যাক এডওয়ার্ডস আউট হয়েছেন ১৬ রানে।
জনসনের মিডল এবং অফ স্টাম্প বরারব করা ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হয়েছেন এডওয়ার্ডস। জশ ফিলিপস এবং ময়সেস হেনরিকস মিলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। যদিও তাদের দুজনের জুটি বড় হতে দেননি জনসন। বাঁহাতি এই পেসারের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে আড়াআড়ি শট খেলতে গিয়ে নেসারকে ক্যাচ দিয়েছেন ২৩ রান করা ফিলিপস।
জর্ডান সিল্ক আউট হয়েছেন রানের খাতা খোলার আগেই। সোয়েসপনের টসড আপ বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে স্টাম্পিং হয়েছেন তিনি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সিডনি। শেষ পর্যন্ত ১৫ বল বাকি থাকতেই অল আউট হয় তারা। ব্রিসবেনের হয়ে জনসন চারটি, সোয়েপসন ও ব্রাটলেট নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান তোলে ব্রিসবেন। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৩ রানের ইনিংস খেলেছেন ব্রাউন। এ ছাড়া রেনশ ৪০, ম্যাক্সউইনি ৩৩, ম্যাক্স ব্রায়ান্ট ২৯ রান করেছেন। সিডনির হয়ে শেন অ্যাবট একাই ৪ উইকেট নিয়েছেন।