|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট, সিলেট থেকে ||
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ক্রিকেট খেলাটা মেয়েদের জন্য বেশ খানিকটা কঠিন। সেই কঠিন পথ পাড়ি দিয়েও পঞ্চগড় থেকে উঠে এসেছেন ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা। নিজের জেলায় ক্রিকেট খেলাটা সহজ না হলেও ক্রিকেটার হতে সমর্থন পেয়েছিলেন বাবা-মায়ের। তবে ক্রিকেটে আসতে সবচেয়ে বড় সহযোগিতা পেয়েছেন স্কুল শিক্ষক আমিনুদ্দিনের কাছ থেকে।
লম্বা সময় ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিতই পারফর্ম করছিলেন তৃষ্ণা। এবছর বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন ওয়ানডে বিশ্বকাপও। তবে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনতে হয়েছে তাকে। অবশেষে সিলেটে নারী এশিয়া কাপে অভিষেক হয়েছে বাঁহাতি এই পেসারের। নিজের অভিষেক ম্যাচে করেছেন হ্যাটট্রিকও। এমন দিনে ক্রিকেটার হওয়ার পেছনে বাবা-মা ও স্কুল শিক্ষকের অবদানের কথা জানালেন তিনি।
মালয়েশিয়া ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে তৃষ্ণা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ প্রথমত হ্যাঁ, পঞ্চগড়ে ক্রিকেটটা মেয়েদের জন্য অনেক কঠিন। ক্রিকেট বলতে ছেলেদের ছাড়া মেয়েদের কিছুই নেই। আমাদের মাঠ আছে অথচ অনুশীলন করা যাচ্ছে না। সমর্থনের কথা যদি বলেন, তাহলে বাবা-মায়ের অনেক সমর্থন পেয়েছি। ক্রিকেটে আসার পেছনে আমার স্কুলের শিক্ষক আমিনুদ্দিন স্যারের অনেক সাহায্য ছিল।’
বৃহস্পতিবার সকালে নিজের অভিষেক হওয়ার কথা জানতে পারেন তৃষ্ণা। এমন ম্যাচে হ্যাটট্রিক করতে পারায় খুশি বাঁহাতি এই পেসার। তৃষ্ণা বলেন, ‘অভিষেক ম্যাচ ছিল, চেষ্টা করেছি নিজের ভালোটা দেওয়ার। হ্যাটট্রিক হয়েছে, এতে অনেক খুশি অভিষেক ম্যাচেই স্মরণীয় কিছু করতে পারছি।’
সিলেটের উইকেটে প্রায়শই খেলতে হয় বাংলাদেশের মেয়েদের। জাতীয় দলের খেলার পাশাপাশি ঘরোয়া ম্যাচগুলোতেও মেয়েদের জন্য প্রাধান্য পায় সিলেটের উইকেট। গত বছর ঘরোয়া ক্রিকেটে মাত্র ১৪ রানে ৬ উইকেট নিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন তৃষ্ণা। এবার টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ম্যাচে করেছেন হ্যাটট্রিক। এমন পারফরম্যান্সের পর সিলেটের উইকেটকে নিজের জন্য লাকি বলছেন তিনি।
তৃষ্ণা বলেন, ‘আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি ছিল। এনসিএলে কিছু ভালো খেলেছি। এই উইকেটটা আমার জন্য সৌভাগ্যের। কারণ যখনই আমি খেলি, ভালো কিছু চেষ্টা করি অথবা হয়। অভিষেক ম্যাচেই বিশ্বাস ছিল ভালো কিছু হবে বা করতে হবে।’