|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বিশ্বকাপে উইন্ডিজের বিপক্ষে ১২৪ রানের অপরাজিত ইনিংসে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটের বড় জয় পাইয়ে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। এর আগে বল হাতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তিনি।
৮ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে ২টি উইকেট শিকার করেছিলেন এই অলরাউন্ডার। এই অনবদ্য পারফর্মেন্সের সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জিতেছেন তিনি। দাপুটে ব্যাটিংয়ে ফিরেছেন এবারের বিশ্বকাপে সর্বাধিক রান সংগ্রাহকদের তালিকার শীর্ষে।
উইন্ডিজের দেয়া ৩২২ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিংয়ে দারুণ শুরু করেছিলেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। দলীয় ৫২ রানে সৌম্য ২৯ রান করে ফেরার পর উইকেটে আসেন সাকিব।
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে তামিমকে নিয়ে গড়েন ৬৯ রানের জুটি। তামিম ফিরেছেন ৪৮ রান করে। এরপর মুশফিক দ্রুত ১ রান করে ফিরলে কিছুটা বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
সেখান থেকে লিটনকে নিয়ে ১৮৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন সাকিব। সাকিবের ১২৪ রানের অপরাজিত ইনিংসের সাথে লিটনের অপরাজিত ৯৪ রানের ইনিংস বড় জয় পেতে সাহায্য করেছে বাংলাদেশকে।
বিশ্বকাপের এবারের আসরে টানা চার ম্যাচেই পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংস খেলেছেন সাকিব। বিশ্বকাপের ইতিহাসে চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে এই কীর্তি গড়েছেন তিনি।
তাছাড়া, বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে এক বিশ্বকাপে সর্বাধিক রানের রেকর্ডটি নিজের করে নিয়েছেন সাকিব। মাহমুদউল্লাহর চার বছর আগের অবিশ্বাস্য রান-ফোয়ারাকে পেরিয়ে গেলেন চার ম্যাচেই।
বিশ্বকাপের গত আসরে ৬ ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ ৩৬৫ রান করেছিলেন ৭৩ গড়ে। সাকিব এবার চার ম্যাচ খেলেই মাহমুদুল্লাহকে পেছনে ফেললেন। ৪ ম্যাচেই সাকিবের রান হয়ে গেল ৩৮৪।
তাছাড়া, ক্যারিয়ারে পঞ্চমবারের মতো সেঞ্চুরির সাথে ২ উইকেট পেয়েছেন সাকিব। আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে এই কীর্তি আছে কেবল ক্রিস গেইলের। বিশ্বকাপে পঞ্চাশোর্ধ রানের সাথে অন্তত ১ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব ষষ্ঠ বারের মতো গড়লেন সাকিব।