ক্রিস গেইলঃ দ্যা ইউনিভার্স বস

ছবি:

ছক্কা মেরে বিনোদন দিব... বাংলাদেশে পা রেখেই বলেছিলেন ক্রিস গেইল। গ্রুপ পর্বে রংপুরের জার্সি গায়ে ট্রেইলার দেখিয়েছিলেন। কিন্তু আসল বিনোদনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না। গ্রুপ পর্বে দুইবার পঞ্চাশ ছাড়ানো স্কোর করলেও গেইলকে অনেকটাই মলিন মনে হয়েছিল।
মাথা ও চোখের সংযোগ হচ্ছিলো না ঠিক ঠাক মত। সেরা সময়ও পেছনে ফেলে এসেছেন তিনি। স্বরূপে ফেরটাও আগের মত সহজ নয়। কিন্তু তিনি হাল ছাড়ার পাত্র নয়। তার তো টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট মুখস্ত। যোগ্য থিয়েটার খুঁজে পাওয়ার অপেক্ষাতেই হয়তো ওৎ পেতে ছিলেন ইউনিভার্স বস।
ভালো টাইমিংও হয়েছে গেইলের। মোক্ষম সময়টা চিনতে ভুল করেননি। এলিমিনেটর ম্যাচ, হারলেই বাদ। এমন চাপে বড় তারকারাই তো জ্বলে ওঠে। ক্রিস গেইল সেটাই করলেন।
খুলনার দেয়া ১৬৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে এক গেইলই করলেন হার না মানা ১২৬ রান, বিপিএলে গেইলের সর্বোচ্চ স্কোর। বেশি না, মাত্র ৫১ বল খরচা করেছেন তিনি। টর্নেডো গতির ইনিংসে ১৪টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি।

অথচ এবারের বিপিএলে মিরপুরের উইকেটে ব্যাটসম্যানদের খাবি খাওয়া নিয়ে কতই না কথা হচ্ছিলো। গেইলকে দেখে মনে হয়েছে উইকেট পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করছে। নাটকের মূল চরিত্র এই ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে থাকা ক্রিস গেইল।
খুলনার বোলারদের নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা মেতে মাত্র ১৫ ওভারেই দলকে জয় এনে দেন এই জ্যামাইকান সিক্স মেশিন। দানবীয় ইনিংস দিয়েই রংপুরের ফাইনালে ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখলেন গেইল।
একই সাথে বিপিএলের পঞ্চম আসরে সেঞ্চুরির খরা কাটালেন। সাব্বির রহমান, সিকান্দার রাজা, লুক রঞ্চি, আনামুল হক বিজয়রা সেঞ্চুরির কাছে এসেও তিন অংক স্পর্শ করতে পারেনি। হয়তো ক্রিকেট দেবতা 'ইউনিভার্স বস' ক্রিস গেইলের নামের পাশেই বিপিএলের পঞ্চম আসরের প্রথম সেঞ্চুরি লিখে রেখেছিলেন।