রানশূন্য সুপার ওভার, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড

ছবি: বাহরাইন, হংকং

এই যেমন শুক্রবার মালয়েশিয়ায় ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে হংকং ও বাহরাইন ম্যাচে যা ঘটলো তা হয়তো কেউই ভাবেনি। কুয়ালালামপুরের বায়ুয়েমাস ওভাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ফলাফল বের করতে নিতে হয়েছিল সুপার ওভার খেলার অভিজ্ঞতা। নাটকীয় গল্পের মঞ্চায়ন ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জেতে হংকং।
সুপার ওভারে শূন্য, টি–টোয়েন্টির নতুন বিশ্বরেকর্ড
১৫ মার্চ ২৫
আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৯ রান করে হংকং। জবাবে ইনিংসের সব বল খেলে ৮ উইকেটে সমান ১২৯ রান করে বাহরাইন। ফলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। কিন্তু সেখানে যা ঘটল তা ছিল অবিশ্বাস্য।
প্রথমে সুপার ওভারে ব্যাট করতে নামে বাহরাইন। বল হাতে আসেন হংকংয়ের অফস্পিনার এহসান খান। প্রথম বলে বাহরাইনের ব্যাটার আহমেদ নাসিরকে ডট দেন তিনি। এরপর টানা দুই বলে দুটি উইকেট (আহমেদ নাসির ও শোহাইল আহমেদ) শিকার করেন। ফলে সুপার ওভারে কোনো রান না করেই অলআউট হয় বাহরাইন।

নিয়ম অনুযায়ী, সুপার ওভারে ২ উইকেট হারালে ওই দলকে অলআউট বিবেচনা করা হয়। সুপার ওভারে শূন্য রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হংকংয়ের ব্যাটসম্যান বাবর হায়াত প্রথম দুটি বল ডট দিলেও তৃতীয় বলে এক রান নিয়ে দলকে জয় এনে দেন।
এর ফলে বাহরাইন রেকর্ড বইয়ে নিজেদের নাম লেখে ফেলে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে সুপার ওভারে কোনো রান না করার অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড করে তারা। এর আগে সুপার ওভারে সর্বনিম্ন স্কোর ছিল আফগানিস্তানের। ২০২৪ সালের ১৭ জানুয়ারি ভারতের বিপক্ষে মাত্র ১ রান করেছিল তারা।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম হলেও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এর আগে এমন ঘটনা বেশ কয়েকবার ঘটেছিল। প্রথমবার ঘটেছিল ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টিতে। ইংল্যান্ডের ক্লাব সাসেক্স ও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্লাব ঈগলসের মধ্যকার ম্যাচ টাই হয়েছিল। উভয় দল ১১৯ রান করেছিল।
সাসেক্সের হয়ে অলরাউন্ডার ইয়াসির আরাফাত সুপার ওভার করেন এবং ঈগলসের ব্যাটসম্যান রাইলি রুশো ও রায়ান ম্যাকলারেনের বিপক্ষে ৯ রান দেন। ঈগলসের হয়ে সিজে ডি ভিলিয়ার্স বল করেন এবং টানা দুই বলে ডোয়াইন স্মিথ ও ররি হ্যামিল্টন-ব্রাউনকে আউট করেন। ফলে তার দল জয় লাভ করে।