পাকিস্তানের শর্তের বেড়াজালে আইসিসি, আবারও সভা স্থগিত
ছবি: সংগৃহীত
এদিকে ডিসেম্বরের শুরুতে আইসিসি সভাপতির দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন জয় শাহ। তার নেতৃত্বেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার আবারও (৫ ডিসেম্বর) সভায় বসার কথা ছিল। যদিও সেই সভা স্থগিত করা হয়েছে। এই সভায় যোগ দিতে বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি দুবাই আইসিসির কার্যালয়ে হাজির ছিলেন। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত আসার আগেই সেই সভা স্থগিত করা হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে আগামী ৭ ডিসেম্বর আবারও সভায় বসবে আইসিসি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পাকিস্তানকে দুইদিনের সময় বেধে দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পাকিস্তানের অবস্থানের বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি ভারত। এ কারণেও সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হচ্ছে। তবে গণমাধ্যমের বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে পাকিস্তানের দেয়া পার্টনারশীপ ফর্মুলা মানতে নারাজ ভারত।
তারা নিজেদের ঘরের মাঠের কোনো টুর্নামেন্ট হাইব্রিড মডেলে আয়োজন করতে আগ্রহী নয়। পাকিস্তানের দাবি হলো হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করতে হলে ‘পার্টনারশিপ’, ‘ফিউশন’ বা সমতা ফর্মুলা চালু করতে হবে। এর ফলে পাকিস্তান আর আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট খেলতে ভারতে খেলতে যাবে না। তারা নিজেদের ম্যাচগুলো খেলবে নিরপেক্ষ কোনো ভেন্যুতে।
আগামী তিন বছর এই নিয়মই চালু রাখতে হবে। ২০২৫ সালের নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের আয়োজক ভারত। এ ছাড়া ২০২৬ সালের পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সহ আয়োজক তারা। ২০২৫ সালের এশিয়া কাপও হবে ভারতে। পাকিস্তানের দাবি মেনে নিলে এসব টুর্নামেন্ট একক সত্ত্ব হারাবে ভারত। অবশ্য পাকিস্তানের এমন শর্ত কোনো ভাবেই মানছে না ভারত ও আইসিসি।
পাকিস্তান আরও কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। এর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানের বাইরে যে কয়টি ম্যাচ আয়োজন করা হবে, সেসবের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে আইসিসিকে। সেই সঙ্গে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ভারতকে নিয়ে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজও আয়োজন করতে হবে। এবার দেখার বিষয় পাকিস্তানের উদ্ভট সব শর্তে রাজি হয় কিনা আইসিসি।