দুই শর্তে হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে রাজি পাকিস্তান
ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের গণমাধ্যমে ভাসছে এমনই সংবাদ। পিসিবির দুটি শর্তের প্রথমটি হচ্ছে আইসিসির রাজস্ব আয় থেকে তাদের জন্য বরাদ্দ বাড়াতে হবে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, ২০৩১ সাল পর্যন্ত ভারত যতগুলো বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে, সেগুলোও হাইব্রিড মডেলে হতে হবে।
আইসিসির বর্তমান আর্থিক মডেল অনুযায়ী, রাজস্ব আয় থেকে সবচেয়ে বেশি (৩৮.৫০%) পায় বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। পিসিবি পায় মাত্র ৫.৭৫%। যা বছরে ৪২৩ কোটি ৪০ হাজার টাকার মতো। পাকিস্তানের শর্ত মানা হলে আইসিসি থেকে দেশটির জন্য রাজস্ব বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
এদিকে ২০২৫ থেকে ২০৩১—এই ৭ বছরে ভারতে আইসিসির চারটি বড় টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা। ২০২৫ মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২৬ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২৯ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ও ২০৩১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এই চার টুর্নামেন্ট খেলতে পাকিস্তান দলও ভারতে যাবে না।
প্রস্তাবিত সূচি অনুযায়ী, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি মাঠে গড়ানোর কথা এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির। টুর্নামেন্ট আয়োজনে অক্লান্ত পরিশ্রম করে নিজেদের সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে পাকিস্তান। এমনকি করাচি, লাহোর কিংবা রাওয়ালপিন্ডির স্টেডিয়ামগুলো সংস্কারও করছে তারা। তবে টুর্নামেন্টে শুরুর বছরখানেক আগে থেকেই শঙ্কা ছিল ভারতের পাকিস্তানে না যাওয়ার।
সবশেষ এশিয়া কাপেও পাকিস্তানে যেতে অনীহা দেখিয়েছিল ভারত। ফলে শ্রীলঙ্কাকে সহ-আয়োজক হিসেবে নিয়ে ২০২৩ এশিয়া কাপ আয়োজন করতে হয়েছিল পিসিবিকে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়েও এমনটা শঙ্কা ছিল। শেষ পর্যন্ত সেই শঙ্কাই সত্যি হয়েছে।
কিছুদিন আগে বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে আইসিসিকে জানানো হয়েছে ৫০ ওভারের টুর্নামেন্ট খেলতে পাকিস্তানে দল পাঠাবে না তারা। পাকিস্তান অবজারভারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত তাদের ম্যাচগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলতে চায়। যদিও টুর্নামেন্টটির বেশিরভাগ ম্যাচ হবে পাকিস্তানে। ফাইনালের ভেন্যু লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম। এদিকে ভারত যদি ফাইনালে ওঠে, তাহলে লাহোরের পরিবর্তে আরব আমিরাতে খেলা হবে।