বিসিবিতে ‘যোগ্য সংগঠকদের’ প্রত্যাশায় সংগঠকদের মানববন্ধন

ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
‘বিকল্প আছে কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কেমন করবে আগে থেকে বলা মুশকিল’
১৪ মার্চ ২৫
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে ক্রিকেটাঙ্গণেও লেগেছে পালা বদলের হাওয়া। বর্তমান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের অবস্থান একেবারেই অজানা। একইসঙ্গে অন্যান্য কর্তাদেরও দেখা যায়নি বিসিবি প্রাঙ্গণে। এর মাঝেই আজ মঙ্গলবার সকালে বিসিবির সামনে মানববন্ধন করেছেন বেশ কয়েকজন ক্লাব কর্মকর্তা।
‘ক্রিকেট সংগঠকবৃন্দ’- এই ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিসিবির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবুর নেতৃত্বে সেখানে ছিলেন ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ক্রিকেটার দেবব্রত পাল, পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ।

এ ছাড়া প্রাইম দোলেশ্বরের যুগ্ম-সম্পাদক মুশতাক হোসেন, মোহামেডানের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম, জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন, বিসিবির সাবেক দুই কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান ও বোরহান উদ্দিন প্রমুখ। ছিলেন জাতীয় দলের দুই সাবেক অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশারও। সকলেরই দাবি, বিসিবি থেকে অযোগ্যদের সরিয়ে যোগ্য সংগঠক আনতে হবে।
এ নিয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘২০১২ সালের পর আবার বিসিবিতে এসেছি। এসেছিলাম বিসিবির প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে কথা বলতে। কিন্তু তাকে পাইনি। আমাদের দাবি, বিসিবি থেকে অযোগ্য সংগঠকদের সরিয়ে এখানে যোগ্য ক্রিকেট সংগঠকদের নিয়ে আসতে হবে।’
লম্বা সময় ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেললেও আক্ষরিক অর্থে সবধরনের ক্রিকেটে বেশ পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। সেকথাই মনে করিয়ে দেন দেবব্রত পাল। যেকোনো বিষয়ে বিসিবির অপেশাদারিত্বের কথা স্মরণ করান তিনি।
দেবব্রত পাল বলেন, 'আমরা টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছি সেই ২০০০ সালে। গত ২৪ বছরে অন্যান্য দেশগুলো ক্রিকেট উন্নয়নের ক্ষেত্রে যত দ্রুত তরান্বিত হয়েছে, সেখানে আমাদের ক্রিকেট কিন্তু ততখানি পিছিয়ে গেছে। সেই পিছিয়ে যাওয়ার কারণগুলো আমরা বিভিন্ন সময় আপনাদের কাছে উল্লেখ করেছিলাম।'
'আমাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা, বাংলাদেশ ক্রিকেটের যে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, অব্যবস্থাপনা, অপেশাদারিত্ব- এগুলোর ফলেই আজকে বাংলাদেশ ক্রিকেট পিছিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ক্রিকেটকে সবাই লালন করে। সে লালনের জায়গা থেকেই আজকে আমরা এখানে এসেছিলাম।'