পাকিস্তানের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি জনসনের জীবনের সেরা ইনিংস

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
মোহাম্মদ আমিরের সঙ্গে নাসিম শাহ, শাহীন শাহ আফ্রিদি এবং হারিস রউফের গতির সামনে দাঁড়াতেই পারলেন না কানাডার ব্যাটাররা। সবাই যখন সাজঘরে ফিরে যাওয়ার মিছিলে তখন এক প্রান্ত আগলে রেখে অ্যারন জনসন খেললেন ৫২ রানের দুর্দান্ত। তার এমন ইনিংসে কেবল দলের রানই একশ পেরিয়েছে কানাডার। ম্যাচ না জিতলেও বিশ্বের অন্যতম সেরা পেস ইউনিটের বিপক্ষে এমন ইনিংস খেলে বেশ খুশি জনসন। কানাডার ওপেনারের কাছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটিই তার সেরা ইনিংস।
শাহীন আফ্রিদির করা ইনিংসের প্রথম বলেই চার মেরে রানের খাতা খুলেছিলেন জনসন। বাঁহাতি এই পেসারের ফুলটস ডেলিভারিতে ফ্লিক করে চার মারার পরের বলে মিড অফ দিয়ে মেরেছেন আরও এক চার। নাসিমের ক্ষেত্রেও প্রায় একই কাজ করেছেন কানাডার এই ওপেনার। প্রথম বল ওয়াইড দেয়া নাসিমের পরের অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে জনসন চার মেরেছেন কাট শটে।

হারিসের প্রথম ওভারে জনসনের ব্যাট থেকে এসেছে ছক্কাও। পাকিস্তানের অন্যতম তিন সেরা পেসারের বিপক্ষে বাউন্ডারি মারা এই ওপেনার ছাড় দেননি স্পিনার ইমাদ ওয়াসিমকেও। ৪৪ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলা জনসন এদিন সমান চারটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন। স্বাধীনতা পেয়ে এমন ইনিংস খেলায় বেশ উচ্ছ্বসিত কানাডার এই ওপেনার।
ম্যাচ শেষে এ প্রসঙ্গে জনসন বলেন, ‘আমার মতে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি এখন পর্যন্ত আমার সেরা ইনিংস। ক্রিকেটার হিসেবে বেড়ে ওঠার সময় আপনি জানেন, পাকিস্তানে একটি জিনিস আছে, দারুণ ফাস্ট বোলিং আক্রমণ। সেখানে নিজ দলের জন্য একটা ভালো সংগ্রহ এনে দিতে পারা, আমি মনে করি আমার সেরা দুই ইনিংসের একটি।’
‘বল যদি আমার নাগালের মধ্যে থাকে তাহলে সতীর্থ, কোচরা আমাকে নিজের সব শটস খেলার স্বাধীনতা দিয়ে রেখেছে। তো একবার ছন্দ পেয়ে গেলে আমি জানতাম তারা লেংথ টেনে দেবে কারণ তারা দেখেছে আমি রান করছি। তাই আমার জন্য বিষয়টা ছিল যত সম্ভব লম্বা ব্যাটিং করা।’
জনসনের ৫২ রানের ইনিংসের পরও নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১০৬ রানের বেশি তুলতে পারেনি কানাডার। সুপার এইটে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখতে পাকিস্তানের বিপক্ষে জিততেই হতো তাদের। তবে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজমের ব্যাটে ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। তিন ম্যাচে ২ পয়েন্ট পাওয়া কানাডা নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে ভারতের বিপক্ষে।