চাপে নয় বরং সিরিজ জয় থেকে রসদ খুঁজছে শ্রীলঙ্কা

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলেও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হারতে হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। খানিকটা নড়বড়ে অবস্থায় বিশ্বকাপ শুরু করা লঙ্কানরা হেরেছে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে। অ্যানরিখ নরকিয়ার গতি আর বাউন্সের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি কুশল মেন্ডিস, পাথুম নিশাকা, সাদিরা সামারাবিক্রমা কিংবা ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গারা। সুপার এইটে যেতে কঠিন এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে তারা।
নেদারল্যান্ডস ও নেপালকে হারানোর আগে হাসারাঙ্গার দলকে খেলতে হচ্ছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। নাজমুল হোসেন শান্তর দলের বিপক্ষে হারলে সুপার এইট থেকে ছিটকে যাওয়ার খুব কাছে চলে যাবে শ্রীলঙ্কা। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ হওয়ায় এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়েও চাপ অনুভব করছে তারা। ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এসে সেটার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন থিলিনা কান্ডাম্বি।

শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং কোচ সামনে এনেছেন চার মাস আগের সিরিজ জয়ের কথা। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পর ঘরের মাঠে লঙ্কানদের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলে টাইগাররা। যেখানে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হারেন শান্তরা। সেই সিরিজ জয়ের আত্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে এগিয়ে যেতে চায় শ্রীলঙ্কা।
এ প্রসঙ্গে কান্ডাম্বি বলেন, ‘মনে হয় না (অনেক চাপে কিনা)। কারণ আমার মনে হয় সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। এই ম্যাচ খেলার জন্য আমাদের সেই আত্মবিশ্বাস এবং মোমেন্টাম আছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমার মনে হয় এটা পুরোটাই প্রসেস। প্রথম বল থেকেই আমরা কিভাবে অ্যাপ্রোচ করি সেটাই মূখ্য। আমি আগেও বললাম আমাদের ছেলেরা আত্মবিশ্বাসী। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে আমরা দারুণ সিরিজ খেলেছি। আমরা সেই আত্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।’
নিজেদের প্রথম ম্যাচে সাউথ আফ্রিকার বোলারদের সামনে দাঁড়াতে না পেরে ৭৭ রানে অল আউট হয় শ্রীলঙ্কা। এত অল্প রান নিয়েও বোলিংয়ে প্রোটিয়াদের চেপে ধরে তারা। লঙ্কানদের বিপক্ষে এমন লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেটে হারিয়ে ১৬.২ ওভারে গিয়ে জেতে এইডেন মার্করামের দল। বোলার ও ফিল্ডারদের এমন পারফরম্যান্সে খুশি লঙ্কান ব্যাটিং কোচ।
কান্ডামি বলেন, ‘এটা আসলে একটা ম্যাচের ব্যাপার। আমরা ভালো ব্যাটিং করিনি কিন্তু নিউ ইয়র্কে আমাদের বোলার এবং ফিল্ডাররা এত অল্প রান ডিফেন্ড করতে যে লড়াইটা করেছে সেটা দারুণ। ছেলেদের উপর আমার ভরসা আছে এবং ব্যাটাররা সবাই অনেক ম্যাচ খেলে ফেলেছে তারা যেকোন সময়ই ফিরে আসবে।’